• ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত-এনসিপিকে ‘এ ক্যাটাগরিতে’ রাখায় নুরের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১৭:৩৩ অপরাহ্ণ
জামায়াত-এনসিপিকে ‘এ ক্যাটাগরিতে’ রাখায় নুরের ক্ষোভ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের সঙ্গেও যে প্রতারণা করেছেন, তার জন্য অবশ্যই আমরা তার সরাসরি সমালোচনা করি। কারণ, আজ তিনি তিনটা দলকে প্রতিষ্ঠা করে ‘এ ক্যাটাগরি’ করে দিয়ে যাচ্ছেন, আর আমরা বি ও সি ক্যাটাগরিতে পড়েছি।

নুর অভিযোগ করেন, বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাদের পরামর্শ সরকার নিতে পারে, যেকোনো সময় তাদের সঙ্গে বসতে পারে। কিন্তু জামায়াত-এনসিপিকে একই ক্যাটাগরিতে রাখা হচ্ছে, যা সবচেয়ে বড় অন্যায়।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক এহসান মাহমুদের ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি দেশের জন্য, কোনো পদ–পদবি বা ক্যাটাগরির জন্য নয়। অথচ যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, তারা বি-সি ক্যাটাগরিতে, আর জামায়াত–এনসিপি ‘এ ক্যাটাগরিতে’ রাখা হচ্ছে। এটা অন্যায় এবং প্রতারণা।

জানুয়ারিতে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বিচার ও সংস্কার নিয়ে গোলমাল বাড়বে। তাই নতুন বছরের প্রথম মাসেই নির্বাচন হওয়া উচিত।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, গত এক বছরেও বিচারের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। পত্রপত্রিকায় দেখা গেছে, একজন বিচারপতির আদালত থেকে চার ঘণ্টায় ৮০০ জামিন হয়েছে। বিচার বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, কিন্তু যৌক্তিক প্রশ্ন তো তোলা দরকার।

তিনি উল্লেখ করেন, গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল, ব্যবসায়ী যারা লুটপাট করেছে, তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। শুধু রাজপথে আক্রমণকারীদের বিচার হলে হবে না।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নুর বলেন, এই সরকার ছাত্রসমাজে ফাটল ধরেছে, প্রতারণা করেছে। আমরা বিশ্বাস নিয়ে তার পাশে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ছাত্ররা রক্ত দিয়ে এই পরিবর্তন এনেছে, অথচ তাদের পাশে দাঁড়ানো হয়নি।

নিজেদের প্রতি দমননীতি চালানোর অভিযোগ তুলে নুর বলেন, হাসিনার আমলেও আমরা এতটা আক্রান্ত হইনি, যতটা এই সরকারের আমলে হয়েছে। সরকারের আমলে আমরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছি, তার বিচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সামরিক বাহিনী—সব জায়গায় যারা ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচন হোক। সরকারের উচিত সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করা।