
২৪ ঘন্টা যিনি রাজনীতি চর্চা করেন, রাজনীতি নিয়ে ভাবেন,রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন তিনি হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দে প্রতি আনুগত্যতা ও পরিশ্রমী হওয়ার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্মী বান্ধব এই নেতাকে আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকার প্রবেশ পথ ঢাকা-১৮ আসনের ধানের শীষ প্রতিক দেওয়া হবে মনে করেন এখানকার ব্যবসায়ি সমাজ ও সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-১৮ আসনকে ঢেলে সাজিয়ে সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে ভাবে যিনি কাজ করতে পারবেন তিনি আর কেউ নয়, তিনি হচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম- আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর।
একান্ত সাক্ষাৎকারে জানা যায়, দীর্ঘ ২ যুগ ধরে আপাদমস্তকে তিনি শুধু রাজনীতিই করছেন।দিনে রাতে ১৬-১৮ ঘন্টা রাজনীতি করার কারণে ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি কোন ধরনের ব্যবসায় মনযোগী হতে পারেন নি। সংসারের প্রয়োজনে যতটুকু না করলেই নয় সেই টুকু ব্যবসার আয় থেকে পরিবারকে দেখভাল করছেন পরিশ্রমি এই নেতা।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ ঘন্টাই তিনি সামাজিক নানান কাজে ব্যস্ত থাকেন। তার এই নিরলস পরিশ্রমের বিনিময়ে এলাকার সাধারণ মানুষ পাচ্ছে নাগরিক সেবা। কর্মী বান্ধব এই নেতার আদর্শে রয়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন পূরুণ। এই বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন খাল পরিস্কার কর্মসূচি, ডেঙ্গুমশা প্রতিরোধে করণীয়,
ছিকনগুনিয়া থেকে নিরাপদ থাকা, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে করণীয় নানান সামাজিক কাজ গুলো অদম্য চেতনায় নিরলস ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কর্মী বাহিনী নিয়ে ছুটছেন উঠান বৈঠকে ও মতবিনিময় সভায়।
ঢাকা-১৮ আসনের পাড়া মহল্লায় এ সব উঠান বৈঠক ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে অর্জন করছেন পাহাড় সমান জনপ্রিয়তা । গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার এইসব কর্মকান্ডে খুশি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাখো মানুষের প্রশংসা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাসছে বিএনপির এই ত্যাগী নেতার সামাজিক কার্যক্রম। এস এম জাহাঙ্গীর তিনি নিজেকে সব সময় সৎ দাবি করে নিজ দলের মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে কেউ চাঁদাবাজের দল বললে অন্তরে অনেক কষ্ট লাগে। তিনি আরও বলেন,আমি চাই চাঁদাবাজমুক্ত আমার প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে দেখতে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সিনিয়ররা বারবার দলের নিয়ম মেনে চলার কথা বলছেন নেতাকর্মীদের, যেতে বলছেন জনগণের কাছে, শুনতে বলছেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। ঠিক সেই সময় থেকে মামলা হামলার স্বীকার, বার বার কারা নির্যাতিত সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর ঢাকা-১৮ আসনের ৮টি থানার নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
উদার মনের এই নেতার মহানুভবতায় মুগ্ধ এ আসনের সাধারণ মানুষ। রাস্তা ঘাটে এস এম জাহাঙ্গীরকে দেখলেই তারা জড়িয়ে ধরে। এখানকার প্রতিটি থানা এলাকায় রয়েছে তার বিশাল কর্মীবাহীনি।
সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর তার কর্মদক্ষতা দিয়ে সিনিয়রদের মন জয় করে নিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখেই মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি অদম্য গতিতে ছুটে কাজ করে যাচ্ছেন।
আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সততাকে লালন করে,আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনা পালন করে অদম্য গতিতে কাজ করছেন এসএম জাহাঙ্গীর। ঢাকা-১৮ আসনে আবারও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর। পুরো উত্তরা জুড়ে স্থানীয় পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিকতার কারণে বিএনপির ঘাঁটিকে তিনি আজও সচল রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এস এম জাহাঙ্গীর শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়, এলাকার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছেন। ফ্যাসিস হাসিনার শাসনামলে মামলায় জড়িত কর্মীদের আইনি সহায়তা, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া এবং দুর্দিনে সাহস জোগানোর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। এ কারণেই তৃণমূল কর্মীরা মনে করেন—ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির বিকল্প নেতৃত্ব বলতে এস এম জাহাঙ্গীরকেই বোঝানো যায়।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, দল যখন চাপে ছিল, তখন এস এম জাহাঙ্গীর ভাই আমাদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রাজধানীর প্রবেশপথ গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে অন্য কেউ যদি প্রার্থী হন, নেতা কর্মীরা তেমনভাবে মাঠে নামবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যদি ঢাকা-১৮ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে চায়, তবে এস এম জাহাঙ্গীরকে সামনে আনা ছাড়া বিকল্প নেই। তারা আরো জানান, মাঠ পর্যায়ে যেমন গ্রহণযোগ্য, তেমনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও আস্থাভাজন এস এম জাহাঙ্গীর। সব মিলিয়ে বলা যায়, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ এর জয় নিশ্চিত করতে হলে এস এম জাহাঙ্গীরই হতে পারেন একমাত্র ভরসা।