• ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: মো:রফিকুল হাসান,প্রকল্প পরিচালক এলজিইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মার্চ ৫, ২০২৫, ২২:৪৯ অপরাহ্ণ
দেশের সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: মো:রফিকুল হাসান,প্রকল্প পরিচালক এলজিইডি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পূর্ণবাসন প্রকল্পের(CAFDRIRP) প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান দৈনিক ভোরকে বলেন, সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০২০সালে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলে এর মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সমাপ্তি না হলে এক বছর সময় বৃদ্ধি হয়। তিনি বলেন,করোনা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মকাণ্ডের গতি কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে পড়ে।এ জন্য কোন কর্মকাণ্ডই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি । সম্ভবতই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তিনি বলেন, প্রকল্পের প্রায় ৫০% খরচ করতে পেরেছি, সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তি সহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিপি তৈরি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়,প্লানিং কমিশন ও একনেক বৈঠকে অনুমোদন ক্রমে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত স্কিম গুলোই বাস্তবায়নের করে যাচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপি ভুক্ত নয় এমন কোন স্কিম করার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে সময়ের সাথে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে এবং অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক অন্তর্ভুক্তি করণের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের পূর্বে ডিপিভি তৈরি হওয়ায় নতুন স্কিম নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে প্রকল্পের শেষের দিকে ১৫% স্কিম রিভাইজ করার সম্ভাব্যতা রয়েছে। বর্তমানে ৫৫ টি জেলায় এর কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান বলেন,আমি যথারীতি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের গতি বাড়ানো সহ যথাসময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন সহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে কাজ চলমান রাখা সহ গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুত সময় সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। এ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছি। ৫ই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কাজের গতি কিছুটা স্থবির হলেও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সচল করতে পেরেছি এবং ৫৫ টি জেলায় কাজের গতি ও বেড়েছে। সর্বশেষে বলেন,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি এবং আশানুরূপ সুফল পাচ্ছি।