• ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বিএনপি কোন বিভাজনের রাজনীতি করে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২৫, ২১:০৯ অপরাহ্ণ
‘বিএনপি কোন বিভাজনের রাজনীতি করে না’
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। বিএনপি সকল ধর্মের মানুষ, বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে।

শনিবার চট্টগ্রামের জেএমসেন হল প্রাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয়ভাবে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সমাজে যখন কোনো মহামানব জন্মগ্রহণ করেন তখন তিনি সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করেন। বিশ্বের শান্তির জন্য তিনি আবির্ভূত হন। তখন তার মঙ্গলজনক কাজ সকল মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। ঠিক একইভাবে শ্রীকৃষ্ণ অন্যায়-অবিচার থেকে মানবসমাজকে মুক্তি দিতে দ্বাপরযুগে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কংসসহ অনেক অসুরকে বধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশ্বের অনেক দেশে এখন হানাহানি, যুদ্ধ চলছে। মানুষ মরছে—এই সময়ে সবার সহনশীলতা প্রয়োজন। কিন্তু যারা মানুষ হত্যা করছে, হানাহানি করছে তারা কখনো ধর্মের কথা বলে, কখনো বর্ণের কথা বলে আবার কখনো সংস্কৃতির কথা বলে।

অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব বলা পছন্দ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব বলা হয়। কেন বলতে হবে? আমার সংবিধানে তো সকল মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। তাহলে অসাম্প্রদায়িক কেন বলতে হবে? তাহলে তো এখানে কোনো গরদ আছে। বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলেছে। সুতরাং মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যে কোনো সরকারের দায়িত্ব।

শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ভোলানন্দ গিরি মন্দিরের অধ্যক্ষ উমেশানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ সনাতনঋষি মহারাজ, বিদহানন্দ মহারাজ, রামানন্দ পুরি মহারাজ, অজপানন্দ পুরি মহারাজ, পরিতোষানন্দ গিরি মহারাজ, রাজীব ধর তমাল, শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, শিবানন্দ গিরি মহারাজ, মহাব্রতনন্দ মহারাজ, রুদ্রাষানন্দ পুরি মহারাজ, যোগানন্দ ব্রহ্মচারী, স্বামী অরুণানন্দ মহারাজ, বাবলানন্দ মহারাজ, প্রেমময় আনন্দ ব্রহ্মচারী প্রমুখ।