যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার পর এবার ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগাল। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেল এ ঘোষণা দেন।
পাওলো রাঞ্জেল তার বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া পর্তুগালের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক, ধারাবাহিক ও অপরিহার্য অংশ। তিনি আরও জানান, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই স্থায়ী ও ন্যায্য শান্তির একমাত্র পথ। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন যে, সেখানে হামাসের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একইসঙ্গে সব জিম্মিকে দ্রুত মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
গাজায় চলমান মানবিক সংকট, ধ্বংসযজ্ঞ এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের তীব্র সমালোচনা করে রাঞ্জেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে এই নয় যে গাজার মানবিক বিপর্যয় শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে, পর্তুগালের এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনের শীর্ষ নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে অভিহিত করেছেন। ফিলিস্তিনি নেতা মোহাম্মদ শটাইয়ে একে মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। অন্য এক ফিলিস্তিনি নেতা বলেন, এটি গাজাবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পর্তুগালের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনই গঠিত হবে না এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলো আসলে “সন্ত্রাসবাদকে বড় পুরস্কার” দিচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানান, এমনটি কখনও ঘটতে দেওয়া হবে না।