• ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একের পর এক হত্যার প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

যশোর শার্শা
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
একের পর এক হত্যার প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় তিন দিনের ব্যবধানে দুই ভ্যানচালক হত্যার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। পরপর দুটি হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় ভ্যান ও রিকশাচালকরা।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে শার্শা উপজেলা পরিষদের সামনে ও নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেনাপোল, শার্শা ও নাভারণ এলাকার শতাধিক ভ্যান–রিকশাচালক অংশ নেন। মানববন্ধনের একপর্যায়ে তারা বেনাপোল–যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধাঘণ্টা অবস্থান নেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং বেনাপোল স্থলবন্দরমুখী পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আমাদের ভাইদের গুম, খুন বা ছিনতাই করা হচ্ছে। আমরা ভ্যান চালিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”

এ সময় নিহত ভ্যানচালক মাসুদ রানার বাবা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, “আমার ছেলেটা ভ্যান চালিয়ে দুইটা বাচ্চার মুখে ভাত তুলে দিতো। এখন সেই ছেলেটার লাশই আমার বুকে ঠাঁই নিয়েছে। আমি শুধু খুনি ধরা পড়া চাই না, আমি খুনিদের ফাঁসি চাই—যাতে আর কোনো বাবার বুক খালি না হয়।”

বক্তারা আরও বলেন, “মেহনতি মানুষের জীবন যেন নিরাপদ হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আমরা কাজ করে খেতে চাই, মরতে নয়।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা ও আশিংড়ী গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে নিখোঁজ ভ্যানচালক মাসুদ রানার (২১) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এর দুই দিন পর, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে শার্শা উপজেলার নাভারণ কাজিরবেড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির স্টিলের বাক্স থেকে উদ্ধার করা হয় আরেক ভ্যানচালক আব্দুল্লাহর (২৫) অর্ধগলিত মরদেহ।

পরপর দুই ভ্যানচালক হত্যার ঘটনায় সীমান্তাঞ্চলজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।