• ১৩ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি, যেসব খাবার বাদ দেবেন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১৬:৫৬ অপরাহ্ণ
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি, যেসব খাবার বাদ দেবেন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

কিডনিতে পাথরের যন্ত্রণা কতটা তীব্র হতে পারে, তা যারা সয়েছেন তারাই জানেন। এ যন্ত্রণা হঠাৎ শুরু হয়। কিন্তু যখন শুরু হয়, তখন সহ্যশক্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়। অনেকেই এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। তারা তো বটেই, সেই সঙ্গে যারা হননি, তারাও এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখকে দূরে রাখতে পারেন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু বদল এনে।

চিকিৎসকদের মতে, এ যুগে যে ধরণের জীবনযাপনের পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন মানুষ, তাতে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। আর এ অভ্যাস কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

কী কী বদল আনা দরকার খাদ্যতালিকায়?

১. অক্সালেট বেশি আছে এমন খাবার
শাকপাতা বা পাতা জাতীয় সবজি যেমন বাঁধাকপি, বিট, আলু, ঢেঁড়শ ও বাদামে অক্সালেট রয়েছে বেশি। এ উপাদান কিডনিতে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশতে পারে এবং তৈরি করতে পারে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন। চিকিৎসকরা বলছেন, তার মানে এ নয় যে, এই সমস্ত খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ, এসব খাবারে জরুরি নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই এ সমস্ত খাবার খেলে তার সঙ্গে সব সময় দুধ, দই জাতীয় ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান, যা কিডনিতে অক্সালেট জমতে দেবে না।

২. খুব বেশি মাংস খাওয়ার অভ্যাস
অতিরিক্ত মুরগির মাংস, মেটে, রেড মিট এমনকি, ফ্যাটযুক্ত মাছও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রস্রাবে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়লেই কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়বে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন বেশি না খেয়ে ডাল, সয়াবিনের মতো উদ্ভিজ প্রোটিন খান। তাতে শরীরে যাওয়া প্রোটিনের ধরনে ভারসাম্য আসবে।

৩. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস
অতিরিক্ত লবণ কিডনিকে বেশি ক্যালশিয়াম তৈরি করতে বাধ্য করে, যা থেকে তৈরি হয় পাথর। তাই লবণযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।

৪. মিষ্টি স্বাদের পানীয়
কোলা জাতীয় পানীয়, অন্যান্য নরম পানীয়, এমনকি ফলের রস, এনার্জি ড্রিঙ্কেও থাকে উচ্চমাত্রার ফ্রুকটোজ় কর্ন সিরাপ। এটি প্রস্রাবে রাসায়নিক বদল ঘটাতে পারে, যা ক্যালশিয়াম তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এ ধরণের পানীয় কম খেতে হবে।

৫. ক্যাফিন আর মদ্যপান
অতিরিক্ত চা, কফি খেলে শরীরে ক্যাফিন যায় বেশি। এতে শরীরের আর্দ্রতা কমে। আবার মদ্যপানেও শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

৬. ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট
৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি-এর ওষুধ খেলে তা শরীরে অক্সালেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনি ভিটামিন সি-এর সাপ্লিমেন্ট খান, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। বিশেষ করে আগে যদি কখনও কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে, তবে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।

৭. পানি খাওয়ার মাত্রা
প্রতি দিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি না খেলেও কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়তে পারে। অন্যদিকে, সারাদিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি খেলে পাথর তৈরির জন্য দায়ী উপাদানগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই নিয়মিত পরিমাণমতো পানি খেলেও কিডনিতে পাথরের আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে ফেলা যাবে।