গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও পাঁচজন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়লি গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টির কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১০০ জন শিশু।
মে মাসের শেষের দিকে সম্পূর্ণ অবরোধ আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার পরও ইসরায়েল গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এসব মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া আল জাজিরা বলেন, দুর্ভিক্ষ একটি গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে। অপুষ্টির কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ২০২৩ সাল থেকে গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিরাম বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেয়। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।