• ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোমতী নদীর পানি বাড়ছে ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার, চরাঞ্চলে আতঙ্ক

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০২৫, ১৭:৪৪ অপরাহ্ণ
গোমতী নদীর পানি বাড়ছে ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার, চরাঞ্চলে আতঙ্ক
সংবাদটি শেয়ার করুন....

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি প্রতি ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিচু এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই বসতবাড়ি ও ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানিয়েছেন, বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত গোমতীর পানি ৮.৩ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা এখনো বিপৎসীমার ২.৫ মিটার নিচে (বিপৎসীমা: ১১.৩ মিটার)। তবে প্রতিঘণ্টায় পানির উচ্চতা ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

এদিকে কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নদীর টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, অনেক চর ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

সংরাইশ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার অটোরিকশাচালক মো. বাবুল সরকার বলেন, “গতকাল পানি অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু আজ ভোরে দেখি পানি আমাদের ঘরের কাছাকাছি চলে এসেছে। আতঙ্কে আছি, কারণ গত বছর বন্যায় ঘর ভেসে গিয়েছিল। এবার যদি আবার সেটা হয়, তাহলে পথে থাকতে হবে।” ঝাঁকুনিপাড়া বেড়িবাঁধের দোকানদার সেলিম উদ্দিন জানান, “গতকাল বিকেলেও এত পানি ছিল না।

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি অনেক বেড়েছে। এভাবে বাড়লে বিকেলের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।”  বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির আহমেদ বলেন, “গোমতীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

টানা বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।” তিনি আরও জানান, গোমতীর চরবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে। “পানি যেভাবে হঠাৎ বাড়ছে, তা আমরা পূর্বাভাসে পাইনি। তবে আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”