• ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ২৪টি জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০২৫, ১৬:৪৮ অপরাহ্ণ
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ২৪টি জরুরি নির্দেশনা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

সব ঠিক থাকলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য কেন্দ্র সচিবদের উদ্দেশ্যে ২৪টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

শনিবার (১ নভেম্বর) বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এর সব পরীক্ষার্থী ৮ম শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ১০০ ও পূর্ণ সময় ৩ ঘণ্টা এবং বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫০+৫০ নম্বর ও ১.৩০ মিনিট + ১.৩০ মিনিট সময়ে অংশ নেবে। পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে।
২. পরীক্ষা শুরুর ৭ দিন আগে ট্রেজারিতে/থানা লকারে রক্ষিত প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের বিবরণী তালিকা যাচাই করতে হবে। এ সময় ট্রেজারি অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেন্দ্রসচিব ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. প্রশ্নপত্রের ২ সেট পরীক্ষার তারিখ অনুসারে সেটভিত্তিক আলাদা করে সিকিউরিটি খামে প্যাকেট করতে হবে।
৪. কোনো কেন্দ্রে আসন অনুপাতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাব-সেন্টার করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
৫. প্রশ্নপত্র যাচাইয়ের দিনে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তারিখভিত্তিক প্যাকেট সাজিয়ে সিকিউরিটি খামের গাম লাগিয়ে, কার্টুন টেপে মুড়িয়ে, খামের ওপর পরীক্ষার তারিখ, বিষয় কোড ও সেট কোড লিখতে হবে। ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা কেন্দ্রসচিবের অবহেলা হিসেবে গণ্য হবে।
৬. প্রতিদিনের পরীক্ষার জন্য ট্রেজারি অফিসারের কাছ থেকে ওই দিনের সিকিউরিটি খাম ২ সেট গ্রহণ করতে হবে।
৭. প্রশ্নপত্র পরিবহনে পুলিশ প্রহরা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. এসএমএসে নির্দেশিত সেট অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ব্যবহার করতে হবে এবং এসএমএস পাওয়ার পরই প্যাকেট খুলতে হবে।
৯. খাম অক্ষত অবস্থায় উপজেলা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে; উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির কাছে জমা দেবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন কেবল কেন্দ্রসচিব।
১০. প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন কক্ষ পরিদর্শক থাকবেন এবং প্রতিটি কক্ষে অন্তত ২ জন পরিদর্শক থাকতে হবে।
১১. পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্বে আসন ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কক্ষে প্রবেশ করাতে হবে। দেরি হলে কেন্দ্রসচিব রেজিস্টার খাতায় তথ্য লিখে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারবেন। পরীক্ষা শেষে রেজিস্টার খাতা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
১৩. পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; প্রয়োজনে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার বা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১৪. কেন্দ্রসচিব ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে বিদ্যালয় প্রধানদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেবেন।
১৫. প্রবেশপত্রে ত্রুটি থাকলে তা ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধন করতে হবে।
১৬. ত্রুটিপূর্ণ উত্তরপত্র বিতরণ করা যাবে না।
১৭. হাজিরা শিটে উপস্থিতির স্বাক্ষর নিতে হবে, অনুপস্থিতদের ক্ষেত্রে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
১৮. নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে এবং উত্তরপত্র উপজেলা কমিটির কাছে সিলগালা অবস্থায় পৌঁছে দিতে হবে।
১৯. প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহনে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে।
২০. প্রতি বিষয়ের ৫০টি করে উত্তরপত্র করোগেটেড শিটে প্যাকেট করতে হবে।
২১. প্যাকেটের গায়ে কোনো অতিরিক্ত লেখা বা চিহ্ন থাকলে কেন্দ্রসচিব দায়ী থাকবেন।
২২. প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা প্যাকেট করতে হবে। ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র রাখতে হবে।
২৩. পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রাখতে হবে এবং অনলাইনে তথ্য প্রদান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
২৪. বোর্ডের অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ছাড়া অন্য কোনো ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।