
ঠাকুরগাঁওয়ে এক নার্সিংছাত্রীকে অপহরণের পর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই ঠাকুরগাঁওয়ের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সিমা বেগম ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভান্ডারা গ্রামের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বর্তমানে রংপুরের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
একই এলাকার গোলাম রব্বানীর ছেলে পুলিশ সদস্য শামিমকে প্রধান আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ৬ অক্টোবর আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সিমা বেগম। অন্যান্য আসামিরা হলেন, পূর্ব বনগাঁও গ্রামের হবির ছেলে আব্দুর রহিম, মেদনীসাগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শান্ত, বাশবাড়ী গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে মিলন, ভকরগাঁও গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে মশিউর রহমান মুহুরী, ভান্ডারা গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে মোবারক এবং আবুল কাশেমের ছেলে মঞ্জুর আলম।
অভিযোগে সিমা বেগম জানান, পুলিশ সদস্য শামীম দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শামীম প্রায়ই রাস্তাঘাটে তাকে উত্যক্ত করতেন। এতে করে তিনি বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পেতেন।
সিমা জানান, গত ২ অক্টোবর বিকেলে ডাক্তার দেখানোর জন্য নেকমরদে যান সিমা। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মিরডাঙ্গী বাজারের কাছে পৌঁছালে চারটি মোটরসাইকেলে আসা সাতজন যুবক তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। পরে শামীম জোরপূর্বক তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মুখ বেঁধে পূর্ব বনগাঁও গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শামীম প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অন্য আসামিরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, “আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত প্রায় ২টার দিকে তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। সেদিন থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শামীমের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। অন্যদিকে রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরশেদুল হক বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।