• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানী ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ তানজিমুল উম্মাহ গার্লস মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ

তানযীমুল উম্মা গার্লস মাদ্রাসার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বিধান লঙ্ঘন,অসদাচরণ, দাম্ভিকতা ও ক্ষমতার ব্যবহারের কাছে অভিভাবকরা জিম্মি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১৩:৫০ অপরাহ্ণ
রাজধানী ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ তানজিমুল উম্মাহ গার্লস মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাজধানী ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ তানজিমুল উম্মাহ গার্লস মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। ভুক্তভোগী অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, তানজিমুল উম্মাহ গার্লস মাদ্রাসার প্রভাবশালী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্ন ক্ষমতার দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন। এই সুবাদে তার স্ত্রীর সালমা বেগম উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সালমা বেগম গত বছর ক্ষুদ্র একটি ত্রুটির কারণে শিক্ষার্থী আতিক ইসলামকে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান করে ফেলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রথমে গার্ডিয়ানকে না জানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর পরিচর্যা করেন। পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ঘটনাটি জেনে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাধর ও দাম্বিকপূর্ণ ব্যক্তি আব্দুল্লাল আল মামুন প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে দেন। সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয় হলো উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মোঃ আনিসুর রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকায় তাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের পথ থেকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া করেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনেক শিক্ষক জানান, সালমা ইসলাম সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী হওয়াতে তার ভয়ে সবাই তটস্থ থাকেন। তার কোন কাজেই বাদ সাধার কারো সুযোগ নেই, যে কারণেই তার অন্যায় অনিয়ম সকলেই মুখ বুজে সহ্য করেন। প্রিন্সিপাল মোঃ আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনা সত্যতা থাকলেও তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড,পরীক্ষা ও নিরীক্ষা পরিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এর বিধি-বিধান তানজিমুল উম্মাহ গার্লস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনেক ক্ষেত্রেই পরিপালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় উত্তরায় বসবাসরত নাগরিক সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ। এছাড়া উত্তরার মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকায় তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পাস গুলোর অনুমোদনের বিষয়টি যথাযথ কিনা?এ বিষয়ে প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের।