• ৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরাগের এ এম স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) সহ ৯৭ % পাস করেছে

মনির হোসেন জীবন
প্রকাশিত জুলাই ১৪, ২০২৫, ১৪:৫৩ অপরাহ্ণ
তুরাগের এ এম স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) সহ ৯৭ % পাস করেছে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাজধানী তুরাগের দলিপাড়াস্হ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ” এ এম স্কুল এন্ড কলেজ ” ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অভাবনীয় ফলাফল অর্জন করেছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানের জিপিএ-৫ (A+) সাফল্য অর্জন সহ শতকরা পাসের হার ৯৭ % দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠান জুড়ে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। শিক্ষার্থীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাসে ফেটে পড়ছে। এ এক অন্য রকমের আনন্দের মুহুর্ত। এছাড়া একে অপরকে মিস্টি মুখ করা সহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের মুখেও ছিল গর্ব ও আনন্দের ছাপ।

এ এম স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহের খান ও অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা ঊষা এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিউলি আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, এ এম. স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের আন্তরিক পরিশ্রম ও সঠিক দিকনির্দেশনার কারণেই আমরা ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছি। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে নিয়মিত পাঠদান, কঠোর অধ্যবসায় এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা রয়েছে ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরাও এই কৃতিত্বে খুশি। অনেকে বলেছেন, এ বছরের প্রশংসনীয় সাফল্যের মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অধ্যক্ষের যথাযথ দিকনির্দেশনা। পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও শৃঙ্খলার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান নিয়মিত মনিটরিং এবং নিয়মিত শ্রেণিপাঠদান করান। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদেরও অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হয়েছে। যা এ বছরের প্রশংসনীয় ফল অর্জনে সহায়ক হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, মানসম্মত পাঠদান, অভিভাবকদের সচেতন তত্ত্বাবধান এবং শিক্ষার্থীদের একাগ্র মনোযোগ ও কঠোর পরিশ্রমে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আবু তাহের খান আবুল শিক্ষার্থীদের সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করা প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময়েও আমাদের শিক্ষার্থীরা সাহসের সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েও কঠিন বাস্তবতার মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে যে ফলাফল পেয়েছি তাতে আমরা অত্যন্ত সন্তুোষ্ট। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল করবে এবং দেশের জন্য গর্ব বয়ে আনবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, এ এম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা সবসময় ভালো করে। যেখানে এ বছর সারাদেশে পাশের হার তুলনামূলকভাবে কম, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছে। এ অর্জনের জন্য আমি সকল শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।