• ১০ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না

 ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত আগস্ট ১০, ২০২৫, ১৬:০১ অপরাহ্ণ
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় হামলা বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে রিপোর্ট রয়েছে।’
মাজার ও মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা আছে। প্রতিটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়, তাই সামাজিক সচেতনতাও জরুরি। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে।
সিসি ক্যামেরা থাকলে কোনো দুর্বৃত্ত যদি মাজার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় তাহলে তাদের চিহ্নিত ও আটক করা সহজ হবে।’

এর আগে সকাল ৯টায় তিনি সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা মসজিদে গিয়ে জানান, আধুনিক তুরস্কে যেমন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আছে, সেগুলোর আদলে ১০ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এখানে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে এবং পাগলা মসজিদের দানের টাকায় এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। শিগগিরই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

মসজিদের তহবিলে জমা থাকা টাকার হিসাব দিয়ে তিনি জানান, পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংকে এফডিআর আকারে রয়েছে। যারা অর্থাভাবে পড়াশোনা চালাতে পারছে না বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো পোশাক-পরিচ্ছদ কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য মসজিদ কমিটিকে বলেছি, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লভ্যাংশ থেকে সহায়তা দিতে। এটি বাস্তবায়িত হলে তা একটি মহৎ কাজ হবে।
মসজিদের লভ্যাংশের টাকা গরিব, দুঃখী, অনাথ ও অসুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা এসব মানুষের সহায়তায় ব্যয় করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরানুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দেন।