বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে জবাবদিহিতা না থাকার যে বাস্তবতা, নুরের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে কেউ কমর্সূচি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করলে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সব জায়গায় ঐক্যমত হবে না। কিছু চাওয়াতেও অসুবিধা নেই। তবে জনগণের কাছে যেতে হবে।
এদিকে ১৮ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ছেড়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নুর বলেন, এখনো পুরোপুরি সুস্থ নই। আপাতত বাসায় যাব। এরপর অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।
স্বজনরা জানান, নুরকে রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দলটির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় আহত হন নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরের মুখ থেকে বুক পর্যন্ত পুরো রক্তাক্ত। ফেটে গেছে নাক। এ সময় তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায় দলীয় নেতাকর্মীদের। পরদিন সকালে নুরের জ্ঞান ফেরে।