বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে বিএনপি স্বাগত জানাচ্ছে। বিএনপি মনে করে এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করছে।’
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গতকাল ৫ আগস্ট প্রফেসর ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করেন। বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানায়। বিএনপি বিশ্বাস করে এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা পালনের মধ্যদিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে।’
সুযোগ সৃষ্টি হবে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে সত্যিকারের প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মানের প্রক্রিয়া। বিএনপি যেসব রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সব স্তরের জনগণ এই সংগ্রামে অংশ নিয়েছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদের জানাচ্ছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
একই সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. ইউনূস ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত এক বছরে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পথকে সুগম করার উদ্যোগের ও প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. ইউনূস, উপদেষ্টামণ্ডলীর, সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সব সদস্যকে যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যাশা করছি অতি দ্রত রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হবে।’