মো:আশরাফুজ্জামান,প্রকল্প পরিচালক, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠাম কাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আশরাফুজ্জামান দৈনিক ভোরের সাথে আলোচনায় বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক কল্যাণ ও সংহতি সুসংহত করতে সামাজিক এবং ধর্মীয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ২২-০৩- ২০২২ ইং তারিখের এক নেক সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ১০৮২০০.০০ লক্ষ টাকা, বাস্তবায়নকাল ১ জুলাই ২০২২ হইতে ৩০ জুন ২০২৬ ইং, অনুমোদিত স্কিমের বিবরণ মসজিদ ১২৮৬৬টি-৫৭৫৩৫.৫৭ লক্ষ টাকা, মন্দির ২১৯৭টি-৯১৬৭.০৪ লক্ষ টাকা, গির্জা ৬০টি-২৫৭.৪২ লক্ষ টাকা, প্যাগোডা ৯৩টি-৬৪৩.১১ লক্ষ টাকা, কবরস্থান ২২৬৮টি-১১১২৭.৫৩ লক্ষ টাকা, শ্মশান ৪১৫টি-২০৩৭.৮০ লক্ষ টাকা, ঈদগাহ ১১২৬টি-৫৮৫৬.৬০ লক্ষ টাকা, গূরুদুয়ারা ০৫টি-৩০.৫০ লক্ষ টাকা, কাজের ভৌত অগ্রগতি ৯৮.৯৬% আর্থিক অগ্রগতি ৯৭.০৮% ক্রমপুঞ্জিত ভৌত অগ্রগতি ৬৫.১৮% আর্থিক অগ্রগতি ৬৪.১৩%, এছাড়া অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতের বিপরীতে জেলা পর্যায়ে ৬৭৮৯৮.৩০ লক্ষ টাকা ছাড় করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন,কাজের গুণগতমান শতভাগ নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে প্রকৌশলীদের সাথে মত বিনিময় সহ সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ ক্রমে কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বেশকিছু স্কিম মাঠ পর্যায়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে,চলতি মাসের ২৯ শে জুন মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় আরো কিছু অর্থ অনুমোদন পেলে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পের কর্মরত মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিধি-বিধান অনুসরণ করে স্কিম অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।