বি এন পির একজন নিবেদিত কমী' হয়ে ও কিভাবে দলকে সুসংগঠিত করা যায় তার জলন্ত উদাহরণ, কালিহাতী টাঙ্গাইলের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থিত খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার। ১৯৭৭ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রেফারেন্ডাম ভোট থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রতিস্ঠার লগ্ন থেকে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টাঙ্গাইল জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব হামিদুল হক মোহন ও সাধারণ সম্পাদক জনাব এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি মরহুম জনাব নুরুল আলম তালুকদার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে কালিহাতীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গসংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম জনাব নুরুল আলম তালুকদার ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তার যোগ্য উত্তরসূরী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার ১৯৭৭ সাল থেকেই সহচর হিসেবে কাজ করেন।

ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি যখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ ও ইসলামের মূল্যবোধে বিশ্বাসী কেউ কালিহাতীতে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে এসেছেন, তিনি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সার্বিক সহযোগিতা করতে দ্বিধা করেননি। এতে করে বিগত সৈরাচার সরকারের আমলে তাকে ও তার পরিবারকে নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে। আন্দোলনের সময় নিহত, আহত, জেল-জুলুম, মামলা–হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি সমর্থিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর রেখেছেন তিনি।

২০২০-২০২২ সালের করোনার মহামারীতেও তার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। মহামারি পরবর্তী সময়ে বিএনপির আহ্বানে জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গসংগঠনের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তিনি। এর প্রমাণ কালিহাতীর প্রতিটি নেতা-কর্মীর অভিব্যক্তিতে প্রতিফলিত হয়। সবার মুখে একটাই কথা—অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার কালিহাতীতে বিএনপির প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে এনেছেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব ও দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত ৩৪ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে নিজ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন তিনি। দুস্থ মানুষের পাশে সর্বদা নিয়োজিত থেকেছেন এবং এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়ন কাজেও সহযোগিতা করেছেন।

মানবসেবায় নিবেদিত এই চিকিৎসক নিভৃতচারী আলোকিত মানুষ হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত। নিজ গ্রামসহ সখিপুর ও টাঙ্গাইলে স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। এছাড়া বহু স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন।