স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর দৈনিক ভোরকে বলেন, ৫ই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পূর্বে এ জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। বিশেষ করে প্রকৌশলীরা কোন কাজ পরিদর্শনে গেলে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ হতো। বর্তমানে প্রকৌশলীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, বিশেষ করে প্রধান প্রকৌশলী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।তবে এখানে উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলায় আমার যোগদানের পূর্বে পূর্ববর্তী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল লতিফ এ জেলায় কিছু বিতর্ক সৃষ্টি করে গেছেন, তিনি পাঁচই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সময় এখানকার দায়িত্বে থাকলে কিছুটা ঝুঁকি ছিল।আমি এই জেলায় যোগদানের পর পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে এসেছি। বিগত সময়ে পটুয়াখালী জেলায় মহিউদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ ও মো:গিয়াস উদ্দিন সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করত। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের জন্য এ জেলার ঠিকাদাররা বিশেষ করে বাহিরের ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করতো। এ কারণে ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড,বরেন্দ্র,জাকা উল্লাহ ও ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স উল্লেখযোগ্য।অতি সম্প্রতি ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড আলোচনার শীর্ষে এবং তাদের লাইসেন্স ব্লাক লিস্ট ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।এ জন্য পটুয়াখালী জেলায় এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার কাজ জনস্বার্থে কার্যাদেশ বাতিল পূর্বক নতুন ভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অচিরেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কাজগুলো শুরু হবে। পটুয়াখালী জেলায় যোগদানকে কেন্দ্র করে তিনি উল্লেখ করে বলেন,আমি প্রথমত দশমিনা উপজেলায় যোগদান করি। পরবর্তীতে এ জেলার নিরি বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাকে আকৃষ্ট করেছে,যে কারণে আমি এ জেলায় দীর্ঘদিন কাজ করছি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর