ভোলায় দূনীতির র্শীষে সাবেক বোরহানউদ্দিন উপজেলার এবং বর্তমানে কর্মরত তজুমদ্দিন উপজেলার উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদি হাসান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশে ভবন নির্মাণ না করেই টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করেন তিনি।
সুত্রে জানা যায়,উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে চাকুরী নেন ভোলা জেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী হিসাবে।
এরপর বোরহাউদ্দিন উপজেলায় উপ - সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী পদে বদলী হন। লালমোহন উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় দিয়ে হয়ে যায় এক দাপটে আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রকৌশলী।
এতে করে দূর্নীতি এবং কাজ না করে ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সাথে যোগসাজশে কাজ না করেই কাজ হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন দিয়ে বিল এর জন্য তদবির করেন এবং বিল উঠিয়ে দেন তিনি। বিনিময়ে তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। রাতারাতি হয়ে যান কয়েক কোটি টাকার মালিক।
সূত্রে জানাযায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী থাকা কালীন বোরহানউদ্দিন উপজেলার পশ্চিম কাচিয়া রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কার নামে প্রকল্পরে আওতায় চারতলা ভবনের লাগোয়া সাইকেল রাখার ঘরের জন্য বরাদ্দকৃত চারলাখ সত্তর হাজার টাকার কাজ শেষ না করেই উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান এর যোগসাজশে পুরো টাকার বিল তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, পশ্চিম কাচিয়া রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম কাজ ঠিকমত হয়েছে মর্মে বুঝে পেয়েছে বলে হস্তান্তর পত্রে স্বাক্ষর করেন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাসহ হুমকি ধামকি ও চাকরির খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন তার কাছ থেকে । অল্প কিছু কাজ করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরো টাকা তুলে নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান,আমরা দুর দুরান্ত থেকে সাইকেল চালিয়ে আসি কিন্তু এ সাইকেলগুলো রাখার কোন যায়গা নাই। মাঝে মাঝে আমাদের অনেকের সাইকেল ও সাইকেলর বিভিন্ন পাটর্স চুরি হয় যায়। আমরা শুনছি আমাদের স্কুলে আমাদের সাইকেল নিরাপদে রাখা জন্য একটা ঘর নির্মান করা হবে। কিন্তু আমরা এ ঘর কখনো দেখিনি। এখন শুনি ঘরটা নির্মান না করে এ টাকাগুলো তারা নিয়ে গেছে।আমরা এর বিচার চাই ও দ্রুত ঘর নির্মণ চাই।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম এ দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন, যদি আবুল কাশেম স্যার জড়িত না থাকেন তাহলে কাজ হয়নি অথচ তিনি কাজ বুঝিয়া পাইছেন বলে লিখিত দিয়েছেন কেন?আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধিদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স টা বাদ করে দেওয়া হউক। সাথে সাথে যে প্রকৌশলী এ কাজের তদারকি করছে তাকে দূর্ণীতির অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হউক।
সরজমিনে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ঘুরে জানাযায়, উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দায়িত্ব পালন কালে যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ হয়েছে সবগুলোতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশে দূর্নীতি হয়েছে। কোন কাজে পিলারে নিচে পাইলিং যা দেওয়ার কথা ছিলো তার অর্ধেক দিয়েছেন,পিলারে ও ছাদে রড ও সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় মালামাল কম দেওয়া ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা। ছাদ থেকে পানি দেয়াল বেয়ে সিঁড়ি কোঠা হয়ে ফ্লোর ভিজে যাওয়া, স্যানিটারী সামগ্রী নিম্নমানের দেওয়া সহ কত যে অভিযোগ তা সরেজমিনে গেলে বুজা যায়। কাজগুলোকে ছয়-নয় দিয়ে কোন রকমে শেষ করেন তিনি।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে এক শিক্ষক জানান,আওয়ামী লীগের প্রভাবের কারণে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কেউ তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাইনি। সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের স্ত্রীর ফোনে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একপায় দাড়িয়ে থাকত কারণ তিনি ভোলা ৩ আসনের এমপির কাছের লোক ছিলেন।
সুত্রে জানাযায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তজুমদ্দিন উপজেলায় উপজেলা - সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী হিসেবে বদলি হয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভবনটি নির্মাণ না করেই টাকা উত্তোলন করে নিয়েছি এটা সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ প্রমান করা এতো সহজ না। একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমার যদি সরকারি চাকুরি না হইত আর আমি যদি সরকারি চাকুরি না করতাম আমি কিন্তু লালমোহনের ছেলে বোঝেন তো তারা একটু হইলেও ইয়া আছে।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী জাহেদুল করীম জানান, আমি তখন ভোলায় ছিলাম না। আমি আপনার কাছে শুনলাম। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিব।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর