রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় হামলা বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা জানান, ‘সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট রয়েছে।’
তিনি মাজার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও আটক করা সহজ হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স ঘুরে মোতাওয়াল্লীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
তিনি জানান, পাগলা মসজিদের তহবিলে বর্তমানে ৯০ কোটি টাকারও বেশি জমা রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু হবে এবং নির্বাচনের আগেই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রত্যাশা করেন।
দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া কর্তৃক আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।