বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত মেদ (বডি ফ্যাট) শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক থেকেও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, থাইরয়েড সমস্যার মতো নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে মেদ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মেদ কেন বাড়ে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেদ বা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি সাধারণত হয়—
মেদ কমানোর কার্যকর উপায়:
খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করুন
খাবারই মেদ কমানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কিছু খাবার আছে যা আপনার মেটাবলিজম বাড়ায়, কিছু আবার সরাসরি চর্বি গলাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
ওয়াকিং, জগিং, সাইক্লিং, যোগব্যায়াম বা ফ্যাট বার্নিং এক্সারসাইজ করলে শরীর দ্রুত ফ্যাট ঝরাতে সক্ষম হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানি শরীরের টক্সিন বের করে দেয় এবং হজমে সহায়তা করে।
রাতে হালকা খাবার খান
রাতের খাবার যত হালকা হবে, মেদ জমার সম্ভাবনা ততই কম হবে।
ঘুম ঠিক রাখুন
রাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে হরমোন ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা ওজন বাড়াতে পারে।
🥦 খাদ্য |
🩺 উপকারিতা |
ওটস |
ফাইবারে ভরপুর, পেট ভরা রাখে |
ডিম |
প্রোটিন সমৃদ্ধ, মেটাবলিজম বাড়ায় |
বাদাম (কাজু, আখরোট, আমন্ড) |
ভালো চর্বি সরবরাহ করে, ক্ষুধা কমায় |
সবুজ চা |
ফ্যাট বার্নিংয়ে সহায়ক |
শাকসবজি (পালং, লাল শাক, পুঁইশাক) |
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও লো ক্যালোরি |
দই (গ্রিক ইয়োগার্ট) |
হজমে সহায়ক, প্রোবায়োটিক |
আপেল ও পেয়ারা |
ফাইবার ও ভিটামিন সি |
হলুদ পানি |
সকালে খালি পেটে ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে |
চিকিৎসকের পরামর্শ:
ডা. রুহুল আমিন, নিউট্রিশনিস্ট ও ওজন নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ, বলেন:
“যেকোনো ডায়েট বা ব্যায়াম শুরু করার আগে নিজেকে বুঝতে হবে। দ্রুত মেদ কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকা উল্টো শরীরের ক্ষতি করতে পারে। পুষ্টিকর খাবার কম পরিমাণে খাওয়া এবং নিয়মিত চলাফেরা করলেই মেদ কমবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে।”
সতর্কতা:
-
ক্র্যাশ ডায়েট বা না খেয়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ
-
চটকদার ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টে না ঝুঁকুন
-
ধৈর্য ও নিয়মিত অভ্যাসই সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি