নির্দিষ্ট বয়সের পর বেশিরভাগ মানুষ হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত হন। দিনকে দিন এ সমস্যায় ভোগার হার বাড়ছে। এমনকি অনেকেই ৩৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই হাঁটুর সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। নারীদের মধ্যে এই ব্যথার প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
এই সমস্যাকে অবহেলা করলে তা জটিল রূপ নিতে পারে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন, তাদের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শুরুতে ব্যথা অনুভব হয় না। কিন্তু কিছুক্ষণ বসে থাকার পর দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়।
এটি হাঁটুর সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ মানুষই এই লক্ষণকে গুরুত্ব দেন না। তারা মনে করেন এটি বয়সজনিত এবং সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এই মনোভাব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। আবার অনেকেই জানান, হাঁটা-চলার সময় সমস্যা হয় না, কিন্তু সিঁড়ি উঠতে-নামতে গেলেই ব্যথা শুরু হয়। কেন এমন হয়?
সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
১. দীর্ঘসময় বসে থাকলে হাঁটুর জোড়ার ভেতরের তরল সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয় না, ফলে শক্ত হয়ে ব্যথা শুরু হতে পারে।
২. হাঁটুর কার্টিলেজ সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে থাকে এবং বসে থাকলে বাড়তি চাপ পড়ে।
৩. হাঁটুর সাপোর্টিং মাংসপেশি দুর্বল হয়ে গেলে উঠার সময় চাপ বেড়ে যায়।
৪. হাঁটুর বাটি যদি তার জায়গা থেকে নড়ে যায় বা ঘষা খায়, তাহলে ব্যথা শুরু হয়। হাঁটুর চারপাশের টেন্ডনে প্রদাহ হলে সিঁড়ি ব্যবহার করার সময় ব্যথা অনুভূত হয়, যা সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয়:
সাঁতার, সাইক্লিং কিংবা হালকা হাঁটার মতো ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ না করাই ভালো। সঠিক পরীক্ষা করেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। তাই হাঁটুর ব্যথা শুরু হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।