
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজ রবিবারও বিক্ষোভ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টানা কয়েকদিন ধরে চলা এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ভবনের নিচ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা স্লোগান দেন—
“আপস নয় লড়াই, লড়াই লড়াই”,
“সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও, লড়াই করো”।
বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচি চালিয়ে যান।
গত ২৫ মে সরকার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে বলা হয়, চারটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই সরকারি চাকরিজীবীকে বরখাস্ত করা যাবে, বিভাগীয় মামলা ছাড়াই।
এই বিধানকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৪ মে থেকেই আন্দোলনে নামেন।
ঈদুল আজহার ছুটির পর গত ১৬ জুন থেকে আবারও সচিবালয়ে আন্দোলন শুরু হয়। কর্মচারীরা নানা সংগঠনের ব্যানারে একত্রিত হয়ে চাকরির নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকের কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ৬ নম্বর ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন—
“এই অধ্যাদেশে কোনো রকম সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন আমরা মানব না। একমাত্র সমাধান—অধ্যাদেশ বাতিল। সরকার এখনো আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি, যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লাগানো পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে যারা পোস্টার ছিঁড়েছে, তাদের শনাক্ত করব এবং পরিচয় প্রকাশ করব। এখন সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট ছাপিয়ে সচিবালয়ের প্রতিটি জায়গায় সাঁটিয়ে দিন।”
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কর্মচারীরা বিক্ষোভ শেষে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বরাবর স্মারকলিপি দেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর