সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে এ হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, যাতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়। টাস্কফোর্সের অন্য তিন সদস্য হলেন পুলিশের সদর দপ্তর ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।
তবে ৬ এপ্রিল আদালতের অবকাশকালীন ছুটির কারণে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আরও ছয় মাস সময় দেওয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনটি পুনরায় কার্যতালিকায় ওঠে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর, কিন্তু সংস্থাটি আজ পর্যন্ত কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এদিকে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনি লড়াইয়ের জন্য আইনজীবী শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়।
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারের দাবিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায় কেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হবে না। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্ত ও আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ২০১২ সালে আমরা রিট দায়ের করি। সেই রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছিল। এরপর আমাদের পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে যায়, তবে আজ পর্যন্ত এর চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর