লোহা ভাতি হাতুড় চালিয়ে সংসার চালান আমিনুল হক ( পেশায় যাদের কামার বলা হয়ে থাকে)। আমিনুল হক ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের সেনুয়া গার্লস স্কুল এলাকার বাসিন্দা।
২০১৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকার আসির উদ্দিন এর মেয়ে আসমা খাতুন সাথে , তাদের কোলে আসে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান।
হঠাৎ করে পারিবারিক কলহের জেরে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে আমিনুল ও আসমা দম্পতির। বিবাহ বিচ্ছেদ এর পর আবার ও পঞ্চগড় জেলার জনৈক ও এক ব্যাক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আসমা খাতুন বলে খবর পাওয়া গেছে। শিশু সন্তানকে ফিরিয়ে পেতে আকুতি জানিয়েছেন বাবা আমিনুল হক।
আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি অঝর নয়নে কেঁদে কেঁদে বলেন,আমার স্ত্রীর আমাকে ভালো লাগেনি ডিভোর্স দিয়েছে এতে আমার কোন আফসোস নেই। আমার ছেলে মহিম পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলা করছিল ও ওর মা সহ আরেক জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে যায় আমার ছেলে কে লোকমুখে শুনেছি।
জদি তার অন্যত বিয়ে না হতো তাহলে একটা আলাদা কথা ছিল আমার ছেলে কেমন আছে না আছে সে খোঁজ খবর ও পাচ্ছি না তাঁরাও দিচ্ছে না। ছেলে কে সাবেক শশুর বাড়ী তে দেখতে গেলে উল্টো আমার উপর চাপ সৃষ্টি করছে আমার সন্তান আমার কাছে আছে।
আমার সন্তানকে যেন আমাকে ফেরত দেওয়া হয় এটাই আমার মুল দাবী।তাই আমি প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সদয় ভূমিকা পালন করার জোর দাবি করছি।
বিষয়টি নিয়ে ছেলের নানা আসির উদ্দিনকে অবগত করলে তিনি জানান সন্তান টি ভালো আছে মাদ্রাসায় আছে আমিনুল এর ছেলে আমিনুল নিয়ে যাবে এতে আমারদের আপত্তি নেই বলে সাব জানিয়ে দেন। বাচ্চা কে দেখতে না দেয়া , উল্টো আমিনুল এর উপর চাপ সৃষ্টির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে। বলেন আমিনুল শুধু ফোন দিয়ে আমাকে সেনুয়া বাজারের যেতে বলছিল বাকি সব মিথ্যা কথা বলছে।
এবিষয়ে আসমা খাতুন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গ এবিষয়ে আমিনুল হক কোন কূলকিনারা না পেয়ে সন্তানকে ফেরত পেতে গ্রাম আদালতে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান ।