
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন খান দৈনিক ভোরকে বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন,যার সুফল দেশের জনগণ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এলজিইডির অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন খান জানান, স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিটি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। যাহা সংসদ সদস্যদের দেওয়া স্কীমের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করে থাকেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ তাদের পছন্দসই স্কিম দিয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ নিয়ে যান। পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তর যথাযথ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজগুলো বাস্তবায়ন করে থাকেন। তিনি বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দৃশ্যমান চিত্র দপ্তরে বসেই দেখা যায়। কোন জেলায় কি পরিমান কাজ হয়েছে,সার্বিক বিষয়ে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে অবলোকন করা সম্ভব।এখানে কাজের অগ্রগতি সহ বিল প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। যাহা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অন্য কোন প্রকল্পে দৃশ্যমান নয়। পিরোজপুর জেলার কাজ বাস্তব আর নিয়ে বলেন, এ জেলার নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রদান করেছে যা এই সফটওয়্যারে সংরক্ষিত এবং ফিল্ড লেভেলে দৃশ্যমান কাজ রয়েছে, কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও সঠিক তথ্য প্রাপ্তির ভিত্তিতে বিল প্রদান করা হয়েছে। কাজের গুণগতমান নিশ্চিত প্রসঙ্গে বলেন, জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের প্রতিনিয়ত কাজের গুণগত মান রক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে নির্বাহী প্রকৌশলী গন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী ও তাদের অধীনস্থ প্রকৌশলীদের সাথে অনবরত মিটিং করে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করেন।