• ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত আগস্ট ৬, ২০২৫, ১৫:৩৪ অপরাহ্ণ
হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে পূর্বে না জানিয়ে কক্সবাজার সফর করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠির মাধ্যমে তাদের কাছে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী ও একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে গিয়েছেন। এই সফর সম্পর্কে রাজনৈতিক পর্ষদকে পূর্বে কিছুই জানানো হয়নি কিংবা কোনো ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি।”

আরও উল্লেখ করা হয়, “এই প্রেক্ষাপটে, আপনাদের এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যার জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, জুলাই ঘোষণাপত্র উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক লাখেরও বেশি জনতার সমাবেশে অনুপস্থিত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন শীর্ষ নেতা কক্সবাজারে যান। হঠাৎ এই সফর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন ও ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।

এনসিপির ওই নেতারা কক্সবাজারে অবস্থানকালে একজন সাবেক বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাদের গোপন বৈঠক হয়েছে—এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

কক্সবাজার সফরকারী নেতারা হলেন—দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। জারার সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সারজিস আলমের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। তারা বাংলাদেশ বিমানের (ইএ-৪৩৩) একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান এবং বিমানবন্দর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যান। এ সময় তাদের কয়েকজন মুখে মাস্ক পরা ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের গুম, খুন এবং ভোট জালিয়াতি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছিলেন। ফলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি এলএনজি রপ্তানিকারক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।