অতি সম্প্রতি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ন পরিচালক প্রফেসর খন্দকার মাহফুজুল আলম দৈনিক ভোরকে একান্ত আলোচনায় জানান, বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও কর্মচারী এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ দিলে সব ধরনের অচল অবস্থা নিরসন হবে। পাঁচই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর ছাত্র-জনতা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেই আঙ্গিকে রাষ্ট্রের অনেক কিছুই সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রেও অনেক সংস্কার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিষয়গুলো মাথায় রেখে সকলকে কাজ করতে হবে, এক্ষেত্রে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে তাদেরকে যুগোপযোগী করে তুলতে হবে।তাতে করে কাজের গতি বাড়বে,সকলেই উৎসাহিত হয়ে কাজ করবে এবং পাঠদান এর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীরাও পাঠদান গ্রহণে মনোযোগী হবে,এজন্যই নতুন স্বপ্ন নতুন দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শুরুতে ৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত ছিল, বর্তমানে এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানো হয়নি সেই পূর্বের যে জনবল আছেন,তাদের মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি সহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই অধিদপ্তরের জনবল আরো বাড়ানো প্রয়োজন,আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো অবহিত করেছি, তারা এ বিষয়গুলো আমলে নিয়েছেন এবং বাস্তবায়নের জন্য যা করণীয় সেই বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষাকতা পেশাকে একটি মর্যাদাশীল পেশায় পরিবর্তিত করতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের যে মানদন্ড এবং বিভিন্ন ভাবে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়।সে ক্ষেত্রে অনেক অনৈতিকতার অভিযোগ আছে। এ বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এনটি আরসির মাধ্যমে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী নিয়োগ পেলে এদেশের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আমি আশাবাদী।