• ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালুমহল অবৈধ দাবী করে ভূমি মন্ত্রনালয়ে ব্যবসায়ী অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত মে ১৫, ২০২৫, ১৪:৫৮ অপরাহ্ণ
বালুমহল অবৈধ দাবী করে ভূমি মন্ত্রনালয়ে ব্যবসায়ী অভিযোগ দায়ের
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিয়ম বহিভুক্তভাবে বালুমহল ইজারা দেওয়া হয়েছে দাবী করে ভূমি মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছেন একজন ব্যবসায়ী।

মেসার্স হাসান-হোসেন এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপ্রাইটরঃ মোঃ রুবেল মিয়া, অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি সরকারের বালুমহাল ইজারার নীতিমালা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বালুমহাল ইজারায় অংশ গ্রহণকারী প্রথম শ্রেণীর একজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ বিধিমালা ২০১১ (সংশোধনী ২০২৩) অনুযায়ী প্রতি বছর বালুমহাল ইজারা দেওয়ার পূর্বে, বি আই ডব্লিউ টিএ হইতে হাইড্রোগ্রাফিক অথবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন করে বালুমহাল ইজারা দেওয়ার কথা বলা হলেও, বরিশাল জেলা প্রশাসক বি আই ডব্লিউ টিএ হইতে হাইড্রোগ্রাফিক অথবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন না করে, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলা ৩৫ নং সৈয়দখালী সাওড়া মৌজায় (৩৮৭৮-৩৮৮১ নং দাগের) মেঘনা নদীর বালুমহাল বাংলা ১৪৩২ সালের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় হইতে হিজলা উপজেলার ৩৫ নং সৈয়দখালী সাওড়া মৌজায় মেঘনা নদীর বালুমহাল বি আই ডব্লিউ টিএ হাইড্রোগ্রাফিক অথবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন না করে, ইজারা দেওয়ার কারণে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন এর ফলে নদী ভাঙ্গার সম্ভাবনা আছে। নদীর গতীপথ পরিবর্তন হওয়া সহ নদী নব্যতা হারাবে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ বিধিমালা ২০১১ (সংশোধনী ২০২৩) অনুযায়ী, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ৩৫ নং সৈয়দখালী সাওড়া মৌজায় মেঘনা নদীর বালুমহাল বি আই ডব্লিউ টিএ হইতে হাইড্রোগ্রাফিক অথবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন না করার কারণে উক্ত ইজারাকৃত বালুমহালটি ইজারার কার্যক্রম বন্ধ রেখে পুনরায় তদন্ত করে নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন অভিযোগ দায়েরকৃত এই ঠিকাদার।

ভূমি মন্ত্রনালয় এর সচিব বরাবর গত ২৪ এপ্রিল লিখিত পত্র দায়ের করেন, পত্রটির অনুলিপি,সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল বালুমহল বন্ধের দাবীতে হিজলা উপজেলার সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী মেঘনা নদী থেকে নিয়ম বহিভুক্ত ভাবে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এভাবে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করা হলে মেঘনা নদীর আশেপাশের এলাকা ভেঙ্গে যাবে, হাজার হাজার মানুষ ভূমিহীন হয়ে যাবে। সরকার উচিত এবিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যতয় ফের আন্দোলনে যাবে হিজলা উপজেলা সাধারণ মানুষ