মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী,টাঙ্গাইল এলজিইডি
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দৈনিক ভোরের সাথে আলোচনা পর্বে জানান, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। তিনি ০১-০৮-২০২৪ ইং তারিখে টাঙ্গাইল জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব নেন। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। এই প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল জেলার এলজিইডি অফিসে ছাত্র জনতা ঢুকে পড়ে,পরবর্তীতে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে একটি সাংঘর্ষিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিনিয়ত কাজের গুণগত মান নিশ্চিত এবং উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে যাচ্ছি। কিছু কর্মচারী ও ঠিকাদারদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেশন ছিল, যেটি আমি ভেঙে দিয়েছি। কেউ অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। তাদের কাজ বাতিল করেছি এবং নতুন ঠিকাদারদের সাথে চুক্তিবদ্ধের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে। বিগত সরকারের আমল থেকেই লাইসেন্স বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ অনভিজ্ঞ ঠিকাদারগণ এই সুযোগে কাজ করেন, তাদের পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়, যাতে উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও ৫ তারিখের পূর্বে উন্নয়ন কর্মকান্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল এবং রাজনৈতিক অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, এরা পালিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল পর্যায় সহ সর্বত্র কর্মকান্ড প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে ।তবে এগুলো অচিরেই দূর হয়ে যাবে। আমরা ইতিমধ্যে কাজগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাপ্তের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি,আশা করি যথাসময়ে এর সুফলগুলো পাওয়া যাবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আরো বলেন, আমার কাছে কোন বিল আসলে আমি সেই বিল গুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে বিল পেমেন্ট করি। কোনভাবেই ওভার পেমেন্ট করার পক্ষে সাপোর্ট করিনা। এতে করে মূল ঠিকাদারগণ কাজ করতে পারছেন এবং দুষ্ট ঠিকাদারগণ পালিয়ে যাচ্ছেন। আমি বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। দুদকের অভিযান ও পরিদর্শনের বিষয়ে বলেন, সরকারের যেকোনো সংস্থা তাদের এখতিয়ার অনুযায়ী কাজ করতে পারেন,এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। দুর্নীতি দমন কমিশন দৃশ্যমান কর্মকান্ড পরিদর্শন করে, চলমান কাজ দ্রুত সমাপ্তির পরামর্শ দেন। মধুপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান যোগদানের পরে টাঙ্গাইল জেলার এলজিইডিতে প্রাণচাঞ্চলের ফিরে এসেছে।তার সুষ্ঠু নেতৃত্ব ও মনিটরিংয়ের কারনে কাজের গতি অনেক বেড়েছে ,পূর্ববর্তী নির্বাহী প্রকৌশলীগন জোরালো মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিলেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইয়ানূর এন্টারপ্রাইজের মাসুদ করিম জানান, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারদের যে কোন সমস্যা অবগত হলে সমাধানে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেন। পূর্বে সাধারণত এ ধরনের তড়িৎ গতির সিদ্ধান্তের সহযোগিতা পাইনি।