• ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হুমকি ও তত্ত্বাবধায়ক লাঞ্ছিত: সুশীল সমাজের ক্ষোভ

মোঃ ইকবাল হোসেন সরদার, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত মে ২৬, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হুমকি ও তত্ত্বাবধায়ক লাঞ্ছিত: সুশীল সমাজের ক্ষোভ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে সাম্প্রতিক টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ হাবিবুর রহমানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত বুধবার ছিল হাসপাতালের ২২টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন। এর মধ্যে কাপড় পরিষ্কারের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি আইটেমসহ মোট ১০টি ক্যাটাগরি এবং খাবারের জন্য ১২টি টেন্ডার আহ্বান করা হয় নিয়ম অনুযায়ী।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এবার টেন্ডার দাখিল করেন একদল বহিরাগত ব্যক্তি, যাদের একজন স্থানীয় এক কথিত ‘হাইব্রিড বিএনপি’ নেতা মন্টু তালুকদার ও আব্দুস সামাদ তালুকদারের ছেলে। অপর একজন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করলেও অতীতে তিনি পুলিশে চাকরি করতেন এবং সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে রাতারাতি নিজেকে এনসিপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এইসব লোকজন টেন্ডার জমা দেয়ার পর টেন্ডার না পেয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকে চাপ সৃষ্টি করে এবং হুমকি দেয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে শরীয়তপুরের বাইরে থেকে আগত একজন ঠিকাদার কাপড় পরিষ্কারের কাজটি পান। যেখানে আগে প্রতি কাপড় ধোয়াতে ৬০ টাকা খরচ হতো, সেখানে এবার ২৯ টাকায় কাজটি দেয়া হয়েছে—যা এক দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ইঙ্গিত বহন করে।
অন্যদিকে অতীতে এই হাসপাতালে টেন্ডার বানিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা বলপ্রয়োগে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়, যা ব্যর্থ হয়েছে।
সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, হাসপাতালের পরিবেশকে কলুষিত করে এমন উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসপ্রবণ ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কাজের বরাদ্দ দিয়ে যে সাহসী ভূমিকা তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান নিয়েছেন, তার প্রশংসা করা উচিত।
এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।