সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের—যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন—তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, কামারুজ্জামানসহ মুজিবনগর সরকারের নেতাদের নামও সেই তালিকায় আছে বলে দাবি করা হয়।
তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি, এবং এ ধরনের তথ্য ভুল ও বিভ্রান্তিকর।
উপদেষ্টার বক্তব্য:
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফারুক ই আজম বলেন—
“মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন এবং সরকার কর্তৃক স্বীকৃত, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কারো সনদ বাতিল হয়নি।”
তিনি আরও বলেন,
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক—এরা সবাই ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা।”
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া:
বিষয়টি নিয়ে সরকারের আরেক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন,
“শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল—এটি একটি ফেইক নিউজ।”
তিনি আরও বলেন—
“নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে স্পষ্টভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কারো সনদ বাতিল হয়নি, এটি ভুল ও মিসলিডিং তথ্য।”
সারসংক্ষেপ:
সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে জানানো হয়েছে, মুজিবনগর সরকারের কোনও সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি। বরং নতুন আইন ও অধ্যাদেশে তাদের স্বীকৃতি আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।