অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি, তবে দেশের নিরাপত্তা ও রাজনীতির স্বার্থে দলটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।”
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যেসব শঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়েই সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করছে। অতীতে কখনো এতটা স্বাধীন পরিবেশে গণমাধ্যম কাজ করতে পারেনি।”
আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “জুলাই মাসে দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি চার্টার প্রকাশ করা হবে। সেই নীতিমালার ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
গণভোট না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “অনেকের মতে গণভোট কার্যকর নয়, কারণ জনগণের একটি বড় অংশ এর উদ্দেশ্য বুঝতে পারবেন না। তবে রাজনৈতিক দলসমূহ সম্মত হলে গণভোটের বিষয়টি বিবেচনায় আনা যেতে পারে।