• ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে দিদারুলকে ‘গার্ড অব অনার’, হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষবিদায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০২৫, ২৩:৩১ অপরাহ্ণ
নিউইয়র্কে দিদারুলকে ‘গার্ড অব অনার’, হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষবিদায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)-কে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় জানিয়েছেন হাজারো মানুষ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে নিউইয়র্ক সিটির পার্কচেস্টার এলাকায় এক আনুষ্ঠানিক আয়োজনে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (NYPD) তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এ সময় তাকে মরণোত্তরভাবে ‘ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড’ পদে উন্নীত করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের গভর্নর, সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ। অনুষ্ঠানে এনওয়াইপিডি কমিশনার বলেন, “দিদারুল নিজের জীবন দিয়ে অন্যদের রক্ষা করেছেন। তিনি নিঃস্বার্থ এক বীর।”

দিদারুলের মরদেহ পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজায় অংশ নেন হাজারো মুসল্লি। জানাজা শেষে তাকে নিউ জার্সির টোটোওয়া ইসলামিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার রাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউতে এক বহুতল ভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল। এ ঘটনায় আরও চারজন নিহত হন।

দিদারুলের পরিবারের সহায়তার জন্য একটি তহবিল গঠিত হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার ডলারের বেশি অর্থ জমা পড়েছে।

দিদারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং পরে পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হয়ে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।

নিউইয়র্কের রাস্তায় দায়িত্ব পালনকালে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিদারুল প্রমাণ করেছেন—বাংলাদেশিরা কেবল নিউইয়র্কের অংশই নন, বরং এর গর্ব ও সম্মানের প্রতীকও।