• ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমির সঠিক ব্যবহারে নিশ্চিত করতে হবে—ভূমি উপদেষ্টা

আলী আহসান রবি
প্রকাশিত আগস্ট ৫, ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ণ
জমির সঠিক ব্যবহারে নিশ্চিত করতে হবে—ভূমি উপদেষ্টা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অধিগ্রহণকৃত জমি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যে কাজে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তা না হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, অব্যবহৃত ও বেদখল জমি পুনরুদ্ধার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, দেশে ভূমির পরিমাণ ক্রমেই কমে আসছে, তাই প্রতিটি জমির সঠিক ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, একসময় জেলা, উপজেলা এবং গ্রামে পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, টেলিগ্রাফ অফিস ছিল, এখন সেগুলো কোথায়? সেইসব পুরাতন প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমি উদ্ধার করে অন্ততপক্ষে সেখানে বনায়ন করা গেলে, তা সরকারের দখলে থাকবে। এই সকল জমি পুনরুদ্ধারে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভূমি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ও বেদখল জমি ব্যবহার ও পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভূমি উপদেষ্টা বলেন, অব্যবহৃত জমি পুনরুদ্ধার রাষ্ট্রের জন্য শুধু উপকারী নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অব্যবহৃত জমির তথ্য জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে ক্রস চেকের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র উদঘাটন করতে হবে। এছাড়াও সরকারি সংস্থার জমি প্রয়োজন হলে তা প্রকৃত দামে ক্রয় করতে হবে, নামমাত্র মূল্যে নয়। প্রয়োজনে আইন ও নীতিমালার সংশোধনের কথাও তিনি বলেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অর্পিত ও শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে। ঢাকা শহরে কয়েক হাজার অর্পিত সম্পত্তি বেদখল রয়েছে, যেখানে আইনজীবীদের সম্মানী অত্যন্ত কম—এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ‘স্টক টেকিং’ কমিটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হকের নেতৃত্বে ‘ব্যবহার সংক্রান্ত’ কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন:
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ,
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক,
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ,
কৃষি সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান,
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান,
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও উপস্থিত ছিলেন।