
মেক্সিকোতে ছয়টি মানবমাথা উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর আমেরিকার দেশটির মধ্যাঞ্চলে একটি সড়ক থেকে দেহহীন এসব মাথা পাওয়া যায়।
বুধবার (২০ আগস্ট) সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে মাথাগুলো পুয়েবলা ও ত্লাক্সকালা প্রদেশের মধ্যবর্তী একটি সড়কে পাওয়া যায়। তবে এলাকাটি সাধারণত মাদকচক্রের সহিংসতার জন্য পরিচিত নয়।
পুলিশ এখনো হত্যার কারণ জানায়নি এবং কোন অপরাধী গোষ্ঠী এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে সে সম্পর্কেও কিছু বলেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি কম্বল ফেলে রাখা ছিল, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর উদ্দেশে হুমকি লেখা ছিল। বার্তাটি ‘লা বারেদোরা’ (অর্থাৎ ‘দ্য সুইপার’) নামে স্বাক্ষরিত ছিল। যদিও পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়েরেরো প্রদেশে এ নামে একটি ছোট অপরাধী সংগঠন সক্রিয়, তবে তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত নয়।
প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাথাগুলো পুরুষদের এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের পাশাপাশি জ্বালানি চোরাচালান বা ‘হুয়াচিকোলেও’ নামক অবৈধ কার্যক্রমও একটি বড় সমস্যা। এতে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার আয় করে।
ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এখনো এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এ সময় ঘটনাটি ঘটল যখন প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন দেশজুড়ে ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
পুয়েবলা ও ত্লাক্সকালা সাধারণত মেক্সিকোর অন্যান্য অঞ্চলের মতো ভয়াবহ কার্টেল সহিংসতার শিকার নয়। এর আগে গত জুনে সিনালোয়া প্রদেশে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল, যাদের মধ্যে চারজনের মাথা কাটা ছিল। ওই প্রদেশ দীর্ঘদিন ধরেই চরম গ্যাং সহিংসতায় জর্জরিত।
এ ছাড়া গত মে মাসে গুয়ানাহুয়াতো প্রদেশে একটি ক্যাথলিক উৎসবে গুলি চালিয়ে সাত তরুণকে হত্যা করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকোতে মাদকচক্রের সহিংসতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ২০০৬ সালে সরকার গ্যাং দমনে সেনা মোতায়েনের পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।