
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সংখানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন করার জন্য প্রথমে সংসদে এটি পাস হওয়া প্রয়োজন। আর তার জন্য দরকার নির্বাচিত সংসদ। কারণ, সংসদ ছাড়া সংবিধানে বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ‘জাতীয় উদ্যাপন কমিটি’র সভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংখানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) যে রাজনৈতিক দলগুলো রাজি নয়, তারাও রাজি হলেও তা আসন্ন নির্বাচনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ, সংবিধান সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর করা যাবে না। আর সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংসদের হাতে। তাই সংখানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হলে এ নির্বাচনের পর সংসদের মাধ্যমেই করতে হবে।
তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে পিআর চাইলেই সেটা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে না। যেকোনো দল প্রস্তাব দিতে পারে, কিন্তু সেটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে কার্যকর হওয়া উচিত নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সব সময় কোনো না কোনো সংকট থাকে। সংকট নেই বলা ভুল হবে। এর চেয়ে বড় সংকটও বিএনপি অতিক্রম করেছে। তাই বর্তমান সংকটও অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা আয়োজন করবে বিএনপি। এতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন।
১ সেপ্টেম্বর সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
ওই দিন সারা দেশে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে।
২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সব উপজেলা ও পৌরসভায় আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
৪ সেপ্টেম্বর দলটি দেশব্যাপী মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিনা মূল্যে চিকিৎসাশিবির আয়োজন করবে।
৫ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক গোলটেবিল আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হবে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ অভিযান, মৎস্য অবমুক্তকরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং ক্রীড়ানুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে।