• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭৫ শতাংশ সিএফওর প্রত্যাশা, এআই আয় বাড়াবে

এআই নতুন প্রযুক্তি থেকে কৌশলগত হাতিয়ারে রূপ নিচ্ছে। এপিএসি অঞ্চলে এখন মাত্র ৩ শতাংশ সিএফও রক্ষণশীল অবস্থানে, যেখানে পাঁচ বছর আগে এই হার ছিল ৬৩ শতাংশ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ণ
৭৫ শতাংশ সিএফওর প্রত্যাশা, এআই আয় বাড়াবে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) অঞ্চলের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তারা (সিএফও) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলেছেন। খরচ কমানোর হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি আয়ের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে এআইয়ে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন তারা। সম্প্রতি এআই প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্সের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০২০ সালে যেখানে ৬৩ শতাংশ সিএফও এআই বিষয়ে সতর্ক নীতি গ্রহণ করেছিলেন, বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩ শতাংশে। অর্থাৎ, এআই এখন নতুন প্রযুক্তি নয়, বরং দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মপ্রক্রিয়া উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ধরা হচ্ছে।

গবেষণায় দেখা যায়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক সিএফও বিশ্বাস করেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা এআই এজেন্ট বিনিয়োগের লাভজনকতা (ROI) মূল্যায়নের ধরন পাল্টে দিচ্ছে। এখন আর প্রযুক্তি বিনিয়োগ কেবল স্বল্পমেয়াদি সফলতার মাপকাঠিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং টেকসই ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য বিবেচিত হচ্ছে।

সেলসফোর্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং/ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার রবিন ওয়াশিংটন জানান, ডিজিটাল শ্রম এখন শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং সিএফওদের জন্য কৌশলগত রূপান্তরের পথ খুলে দিয়েছে। তার ভাষায়, “এআই এজেন্ট ব্যবসার মডেল পরিবর্তনের পাশাপাশি সিএফওদের ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।”

গত বছর ৬৫ শতাংশ গ্লোবাল সিএফও প্রযুক্তি বিনিয়োগে দ্রুত রিটার্ন আনার চাপে ছিলেন। এখন তারা উপলব্ধি করছেন, এআই এজেন্ট শুধু খরচ কমানোর জন্য নয়, বরং আয়ের প্রবৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উন্নত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য।

গবেষণার তথ্য বলছে, এপিএসি অঞ্চলের সিএফওরা তাদের এআই বাজেটের গড়ে ২৩ শতাংশ ব্যয় করছেন এআই এজেন্টে। এর ফলে তাদের খরচের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাচ্ছে। প্রায় ৬০ শতাংশ মনে করছেন, ডিজিটাল শ্রম ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মূল হাতিয়ার হবে।

অন্যদিকে ৭৫ শতাংশ সিএফওর মতে, এআই এজেন্ট শুধু খরচ কমাবে না, বরং আয়ও বাড়াবে। তাদের প্রত্যাশা, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কোম্পানির আয়ে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আসবে। এছাড়া ৭৭ শতাংশ মনে করেন, এআই এজেন্ট তাদের ব্যবসার মডেল সম্পূর্ণ বদলে দিচ্ছে। আর ৫৮ শতাংশের মতে, এআই রুটিন কাজের বদলে কৌশলগত কাজেই বেশি গুরুত্ব দেবে।

ভোর/রিপন/আইটি