• ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসুতে গেমচেঞ্জার ছাত্রীদের ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ডাকসুতে গেমচেঞ্জার ছাত্রীদের ভোট
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে ছাত্রীদের ভোট। মোট ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৮ হাজার ৯৫৯ জনই ছাত্রী। ফলে তাদের ভোটই জয়–পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেবে বলে মনে করছেন প্রার্থীরা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকেই বিভিন্ন হলে গিয়ে ইশতেহার প্রচার করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পিছিয়ে থাকেননি। তাদের প্রচারণায় ছাত্রীদের আবাসন সংকট, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।

বিভিন্ন প্যানেলের ইশতেহারেও ছাত্রীদের আবাসনসংকটসহ নানা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি এবার গুরুত্ব পেয়েছে। ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি সব প্যানেল থেকেই দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীরা যাতে সাইবার বুলিংয়ের শিকার না হন, তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন সব প্রার্থী।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে তারা কাজ করবেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের ঘোষণা দেন, নির্বাচিত হলে ‘ওয়ান বেড, ওয়ান স্টুডেন্ট’ নীতি চালু করবেন। ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম প্রতিশ্রুতি দেন আবাসন সংকট নিরসন ও স্বাস্থ্য-খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার।

অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা প্রচারে গিয়ে বলেন, মোট ভোটারের ৪৮ শতাংশই ছাত্রী, তাদের অংশগ্রহণই ডাকসুর ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে। তিনি দাবি করেন, তাদের ইশতেহারে অবাস্তব কোনো প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। তাদের প্যানেলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তিনটি ফেসবুক গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ডাকসু নির্বাচনের আগে টিএসসিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী বিতর্কেও ভিপি প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন এবং ভোটারদের প্রশ্নের জবাব দেন।

অন্যদিকে, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য বুথের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে এবং সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।