• ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন: শপথ নিলেন ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১৪:২৬ অপরাহ্ণ
ডাকসু নির্বাচন: শপথ নিলেন ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শপথবাক্য পাঠ করেছেন ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলায় শপথবাক্য পাঠ করেন তারা। লিখিত শপথবাক্য পাঠ করান ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

লিখিত শপথবাক্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:

১. আমরা শত বছরের ঐতিহ্যবাহী, দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং গণমানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার ধারক ও বাহক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি, ঐতিহাসিক বটতলায়, সকলের সামনে দাঁড়িয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাদের ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের ঘৃণিত গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধ্য করানো ও ভিন্নমতের জন্য অত্যাচার ও নিপীড়ন আর কখনো ফিরবে না।

২. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনগণের মুক্তির পথ যদি আবারও কোনো কালো শক্তির দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

৩. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, বোনদের তথা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করবো।

৪. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর জন্য হলগুলোতে বৈধ সিট, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সহজ-সুবিধাজনক পরিবহন নিশ্চিত করব।

৫. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সুরক্ষা প্রদানের জন্য সাইবার বুলিং, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ফেইক নিউজসহ অনলাইনভিত্তিক সকল অপতৎপরতা রুখে দেব।

৬. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ক্যারিয়ার গঠনের কার্যক্রমে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেব।

৭. আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, ডাকসুর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে শিষ্টাচার, সৌজন্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখব এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক মনোভাব বজায় রাখব।

৮. আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে এই শপথের প্রতিটি শব্দ মনে প্রাণে ধারণ করি এবং নির্বাচিত হলে জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শপথ বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীরা আমাদের শপথের অংশীদার হবেন এবং আমাদের প্যানেলের প্রতিটি প্রার্থীকে মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আসুন, আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে, গড়ে তুলি একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও শিক্ষার্থীবান্ধব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’