ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা না থাকা এবং ভোট দেওয়ার পরে আঙুলে কোনো কালির চিহ্ন না থাকায় ভোটার ও প্রার্থীদের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের শহীদ তাজউদ্দিন হলে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে ছবিসহ ভোটার তালিকা সংযুক্ত করার পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
তবে এ পর্যন্ত কাস্ট হওয়া ১৫৩টি ভোট পুনঃযাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর রুবেল বলেন, শিক্ষার্থীদের ইনডেক্স কার্ডের মধ্যে ছবি থাকবে কিন্তু এটি পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে ছবি পরিবর্তন করে একজনের ভোট অন্য কেউ দিতে পারে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যেক হলে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু এই হলে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। আবার সকাল থেকে ১৫৩টি ভোট কাস্ট হলেও ভোট দেওয়ার পর কারও হাতে কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়নি। এতে জাল ভোট দিলে তা চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ নেই।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সদস্য সালেহ আহম্মদ বলেন, ‘১৫৩ জন ভোটারের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তাদের আঙুলে মার্কারের কালি দেওয়া হয়নি, ভোটার তালিকায় ছবি ছিল না। আমরা সেগুলো আলাদা করে রেখেছি, পরবর্তীতে ভেরিফাই করবো।’
তবে রিটার্নিং অফিসার ড. আলমগীর কবির বলেন, ‘আঙ্গুলে মার্কারের কালি ও ভোটার তালিকায় ছবি থাকাটা ঐচ্ছিক ছিল। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে ১৫৩ জনের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে, আমরা তা ভেরিফাই করবো।’
তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার ও কেন্দ্রীয় সংসদে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক প্রার্থী সুকান্ত বর্মন বলেন, ‘ভোটারদের হাতে যে মার্কারের কালো কালির দাগ দেওয়া, তা এই ভোটকেন্দ্রে দেওয়া হয়নি। এমনকি ভোটারদের যাচাইয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে থাকা ছবি বিহীন ভোটার তালিকাও ব্যবহার হচ্ছে। যার কারণে কে ভোটার, তা যাচাই করা যাচ্ছে না। এমনও হতে পারে যে একজনের ভোট অন্য কেউ দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে জাকসু নির্বাচনে দুই হলে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোটাররা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। এতে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে পড়ে।