• ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের

নির্বাচন ভাবনা জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ১৩:১০ অপরাহ্ণ
পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কসাল্টিং-এর ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বের জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে। রোববার সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াত সারোয়ার। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। এতে অংশ নিয়েছেন ১০,৪১৩ জন ভোটার।

জরিপে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, গত ৬ মাসে চাঁদাবাজি বেড়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতির বিষয়ে নবীন প্রজন্ম প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় অধিক সচেতন এবং ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করছে।

ভোটের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় জেন-জি প্রজন্ম কম ইতিবাচক। অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে স্বল্পশিক্ষিতদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিতরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে কম সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি বেড়েছে। এছাড়া তারা পিআর ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি সচেতন ও ইতিবাচক।

জরিপে উঠে এসেছে, সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোটে কম আগ্রহী। নির্বাচনের সময় নিয়েও তাদের দ্বিমত বেশি। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি বেড়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক ধারণার হার কম। অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তুলনামূলকভাবে কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা সম্পর্কে।