গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুলকানি হতে পারে, যা সাধারণত ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ইনট্রাহেপাটিক কোলেস্টাসিস অফ প্রেগন্যান্সি বা আইসিপি হলে শরীরে মারাত্মক চুলকানি হতে পারে। আর লিভারের সমস্যা থেকেই আইসিপি হয়ে থাকে।
আইসিপির কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর বিশেষ কোনো শারীরিক ক্ষতি না হলেও তার গর্ভের সন্তানের জন্য বড় বিপদ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চুলকানি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় এ রোগের প্রতিরোধের জন্য ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরা, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, প্রচুর পানি পান করা এবং ভেজা কাপড় বা বরফ দিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
আইসিপির চিকিৎসা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রিমেস্টারে আইসিপি হতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলা এর প্রকোপ বাড়ে। চুলকানির সঙ্গে খিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি, ত্বক হলদেটে হয়ে যাওয়াও আইসিপির চিহ্ন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ছাড়া এই চুলকানির পেছনে নির্দিষ্ট কারণও খুঁজে পাওয়া যায় না।
শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পেটে চুলকানির সমস্যা বেশি হয়। প্রেগনেন্সির সময়, বাচ্চা মায়ের পেটের ভেতর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটের আকারও বাড়তে থাকে। তখন পেটের ত্বক অনেকটা প্রসারিত হয়ে সেখানে টান পড়ে। ফলে সেখানকার নার্ভে কিছু পরিবর্তন হয়ে পেটে চুলকানি হতে পারে।
আসলে এ সময়ে কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গর্ভাবস্থায় চুলকানি তৈরি হয়।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। কারণ মানসিক চাপ চুলকানি বাড়িয়ে দিতে পারে।