• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে এআইয়ের প্রভাব, বিপদ না কি সম্ভাবনা?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১৭:০২ অপরাহ্ণ
কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে এআইয়ের প্রভাব, বিপদ না কি সম্ভাবনা?
সংবাদটি শেয়ার করুন....

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আউটসোর্সিংয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা ও নিয়োগকর্তারা এখন ভাবছেন, ভবিষ্যতে কোন কাজ নিরাপদ থাকবে, আর কোনটা হারিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব কাজ মানুষের বিচারবোধ, সহানুভূতি, বাস্তব জ্ঞান ও শারীরিক উপস্থিতির উপর নির্ভর করে, সেগুলো এআই দিয়ে সহজে প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। চলুন, জেনে নিই যেসব চাকরি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

জননিরাপত্তা: পুলিশ, অগ্নিনির্বাপক বা কোস্টগার্ডের মতো পেশায় দ্রুত সিদ্ধান্ত ও শারীরিক সক্ষমতা লাগে, যা রোবট দিয়ে সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: চিকিৎসক, নার্স, থেরাপিস্ট, শিক্ষক এদের কাজের বড় অংশেই রোগী বা শিক্ষার্থীর সঙ্গে মানবিক যোগাযোগ দরকার, যা এআই এখনও করতে পারে না।

আইনি পেশা: আইনজীবী হতে হলে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় পাস করতে হয় এবং আদালতে মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়, যা এখনো প্রযুক্তি দিয়ে সম্ভব নয়।

কিছু কাজ পুরোপুরি হারাবে না, তবে পরিবর্তিত হবে।

যেমন, রেডিওলজি টেকনিশিয়ানদের সংখ্যা কমতে পারে, কারণ এআই স্ক্যান বিশ্লেষণে সাহায্য করবে, তবে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এখনো মানুষের দরকার।

যেসব চাকরি ঝুঁকিপূর্ণ:
ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রিভিউ, বা সাধারণ রিপোর্টিং এসব সহজেই অটোমেশন দিয়ে করা যাচ্ছে। এসব পেশায় কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে। ভবিষ্যতে টিকে থাকতে হলে এমন পেশা বেছে নিতে হবে যেখানে মানুষের উপস্থিতি, চিন্তা-ভাবনা ও সহানুভূতি অপরিহার্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন থেকেই পরিকল্পনা করা জরুরি কোন কাজে মানুষের প্রয়োজন আছে, আর কোনটি প্রযুক্তি দিয়ে চালানো যাবে। কারণ এআই আরো দ্রুত উন্নত হচ্ছে।