• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো লুক্সেমবার্গসহ কয়েকটি দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো লুক্সেমবার্গসহ কয়েকটি দেশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা এবং মোনাকো।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং মাল্টাও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর ফলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের তালিকায় আরও পাঁচটি দেশ যুক্ত হলো।

ফিলিস্তিন ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক এই বৈঠকে দেশগুলোর নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের শান্তি ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসের প্রতিফলন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের প্রতি আমাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করে।”

লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেন। বেলজিয়াম জানায়, তাদের এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিনের আলোচনাভিত্তিক দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থনেরই অংশ।

একই বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি—ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “এটাই একমাত্র সমাধান, যা ইসরায়েলকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেবে।”

তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা চলমান থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ম্যাক্রোঁর ভাষায়, “যুদ্ধ বন্ধের সময় এসেছে। গাজায় বোমা হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও মানুষের দুর্দশা—কোনো কিছুই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা তৈরি করে না।”

তিনি সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মোনাকো, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য এবং সান মারিনোর প্রশংসা করেন। তার মতে, এই স্বীকৃতি কার্যকর আলোচনার পথ খুলে দেবে। পাশাপাশি তিনি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য।

এছাড়া তিনি জানান, গাজায় আটক সব বন্দি মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলে ফ্রান্স ফিলিস্তিনে দূতাবাস খুলতে প্রস্তুত এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতেও প্রস্তুত।

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অংশ নেয়নি।