লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন। তাঁর লেখা, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। এটি লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে তাকে নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম স্মরণসভা।
বক্তারা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করেছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন এবং লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক ও মুক্তচিন্তার আলোকবর্তিকা। তাঁর লেখায় যেমন মানবতার বোধ রয়েছে, তেমনি যুক্তি ও প্রগতিশীল চিন্তার শক্ত ভিত্তিও বিদ্যমান। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন চিন্তাধারায় ব্যতিক্রমী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির সাধক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলতে প্রেরণা দেয়।
সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে কবি জুননু রাইন বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখনী প্রজন্মকে এখনও চিন্তার খোরাক জোগায়।
প্রসঙ্গত, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্মীপুর) রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।