
‘মব’ সৃষ্টিকারী আকাশ বাহিনী, কিশোর গ্যাংসহ অপরাধীদের টার্গেট উত্তরার সাংবাদিকরা!
রাজধানীতে আট বিভাগের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগ। জনবহুল ছয়টি থানা এলাকা নিয়ে এ বিভাগ গঠিত। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ সিনিয়র সাংবাদিক এবং বহু গণমাধ্যমকর্মীদের বসবাসের স্থান উত্তরা। বর্তমান সরকারের শাসনামলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
উত্তরার সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে অহেতুক হামলা, মারধর, শারীরিক নির্যাতন, হয়রানি, ভয়ভীতি, মামলাসহ নানামুখী হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, বর্তমান সময়ে মব ভায়োলেন্স’ মব সৃষ্টিকারীদের কাছে এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছে সাংবাদিক সমাজ। মব’ সৃষ্টিকারী আকাশ বাহিনী এবং তার পোষা কিশোর গ্যাং এমনকি অপরাধীদের টার্গেট উত্তরার সাংবাদিকরা! ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক; থামছে না খুন, ছিনতাই ও লুটপাট। অহরহ ঘটছে হামলা, মামলা, মারধর, লুটপাট ও হুমকির ঘটনা। খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এবং বিশ্বস্থ তথ্য সূত্রের।
তথ্য অনুসন্ধ্যান, থানায় লিখিত অভিযোগ, মামলা, ভুক্তভোগী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা -১৮ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি কিছু উশৃঙ্খল তরুণ ও ‘মব’ সৃষ্টিকারী গ্রুপের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। একদল ‘মব’ সৃষ্টিকারী, উশৃংখল যুবক, উঠতি বয়সের যুবকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে গণমাধ্যমকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এই তরুণদের হাতে সাংবাদিকরা অপমানিত, লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হচ্ছেন। কখনও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া, কখনও প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে তল্লাশি, যে কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে মারধর, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, মারামারি- হট্টগোলসহ নানা অভিযোগ উঠছে চক্রটির বিরুদ্ধে। এসব কারণে উত্তরাবাসীর সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সচেতন মহল ও বিশেষজ্ঞরা বলছে,
থামছে না ‘মব ভায়োলেন্স’। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে অথবা ওই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির অর্থসম্পদ লুটপাট করাই থাকে তাদের মূল লক্ষ্য। এরপর কৌশলে চলে হামলা, লুটতরাজ, গণপিটুনি ও পিটিয়ে হত্যার মতো ঘটনা। একের পর এক চলতে থাকা এ ধরনের ঘটনাকে ‘মব জাস্টিসে’র নামে দায়মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অনেকেই এটাকে ‘মব জাস্টিস’ বলছেন। আসলে এই ধরনের শব্দ ব্যবহারে দায়মুক্তির সুযোগ তৈরি হয়। এটাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ বলা হয়। এটা থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে। ফলে এটাকে অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে। সেই অপরাধের সঙ্গে যতজনই যুক্ত থাকুক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক মো. তৌহিদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যে ঘটনা এখন ঘটছে, তা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিরই বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা এবং অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এটা প্রতিরোধে পুলিশও সক্রিয় নয়। এ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে নিরীহ মানুষও। সুযোগ সন্ধানী এবং অপরাধীরা নানা গুজব রটিয়ে মব সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করতে হবে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা মব সৃষ্টি ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর ২০২৫ ভোর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প (আশকোনা ক্যাম্প) কর্তৃক তথাকথিত “ছাত্র সমন্বয়ক” পরিচয়ে সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং কার্যক্রম পরিচালনা ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগে “ছাত্র সমন্বয়ক” নামধারী কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ আসাদুর রহমান আকাশসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আটককৃতরা হলো- এ গ্রুপের প্রধান আসাদুর রহমান আকাশ (২৪) তার সহযোগী মোঃ ফরিদ উদ্দিন (২৬) ও মোঃ রবিনকে (২৫)।
সূত্র আরও জানান, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী চক্রের প্রধান আসাদুর রহমান আকাশসহ তার সহযোগীরা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন বেআইনি কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, একের পর এক হামলা ও হুমকির ঘটনায় তারা আতঙ্কগ্রস্ত। অনেকেই বাধ্য হয়ে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকছেন। এ বিষয়ে উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছেছে। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে উত্তরায় স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যায় উত্তরখান থানার বাজার এলাকায় একটি মার্কেটে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক সংবাদ দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার সাকিবুল হাসান। সাকিব
উত্তরা প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। স্থানীয় একদল তরুণ – উশৃংখল যুবক ‘মব’ সৃষ্টি করে তার উপর বিনাকারণে হামলা ও মারধর করে তাকে আহত করেছিল। তার পরনের জামা ছিঁড়ে ফেলে এবং চড়- থাপ্পড়, কিল-ঘুষিসহ শরীরে ফুলা জখম করে। এ ঘটনার কিছুদিন আগে উত্তরখানের মাজার এলাকায় টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দৈনিক আজকের পত্রিকার উত্তরা সংবাদদাতা সাংবাদিক নুরুল আমিন হাসানের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে হাসান গুরুতর আহত হয়েছিল। সবশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকালে উত্তরা ৭ নং সেক্টর বিএনএস সেন্টার এর পাশে রেড চিকেন একটি রেস্টুরেন্টে দুই ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদসহ তিনজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় আসাদুর রহমান আকাশ নামে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। এসময় উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিজয় টিভির সাংবাদিক আলাউদ্দিন আল আজাদ, উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবির, উত্তরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সকালের সময়ের সিটি রিপোর্টার সাংবাদিক জোবায়ের আহম্মেদ আহত হন। এ হামলার ঘটনায়
জোবায়ের আহম্মেদ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২০২৫ সালের ২৯ জুন বিকেলে উত্তরা পূর্ব থানার উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে মব সৃষ্টি করে জোরপূর্বক হোটেল দখলের চেষ্টাকালে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। এ ঘটনায় আটকৃতরা হলো- সাজ্জাদ হোসেন (২৮), শফিক মোল্লা (৩০), আরিফুল ইসলাম (৩০), তন্ময় হোসেন শাওন (২৭), রবিউল ইসলাম (২৫), আনোয়ার হোসেন আশিক (২৭), সাইফুল ইসলাম সাগর (২৭), জালাল খাঁন (৩০) এবং আমির (২১)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আসামিদেরকে উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া ইতিপূর্বে উত্তরা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা শিমুলী আক্তার নীলু’ আজকের পত্রিকর সাংবাদিক নুরুল আমিন হাসান, মিরাজ শিকদারসহ অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং গ্রুপ ও উশৃংখল অপরাধীরা। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ, টাকা পয়সা লেনদেন কিংবা পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে দুর্বৃত্তরা একাধিকবার হামলা ও মারধর করলে এসব সাংবাদিকরা হামলার শিকার হন। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণখানের শাহকবির মাজার রোডের সিএনজি পাম্প এলাকায় আদি টাঙ্গাইল মিস্টান্ন ভান্ডারের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে সাংবাদিক মীর মেহেদী হাসান জনি ও তার বড় ভাই মীর জহিরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক মীর মেহেদী হাসান একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখ্য সংগঠক ওমর ফারুখ উত্তরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। সংবাদমাধ্যমের ওপর কোনো হামলা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেই হামলার বহিঃপ্রকাশ। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।
সম্প্রতি উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদসহ তিনজন সাংবাদিক আহত এবং অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রহিম মোল্লা। এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা অভিযোগ দিয়ে যান, আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম তিন সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। দ্রুত অভিযোগ খতিয়ে ব্যবস্থা নিতে পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে। বক্তব্যে মব কালচারও প্রতিহত করার কথা জানান তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান ও তথ্যমতে জানা যায়, চুরি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি, অপহরণ, ডাকাতি, নানাবিধ অপরাধ ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া বিভাগে কর্মরত এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মব ভায়োলেন্স কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। যদি অপরাধীও হয়, তাকে পুলিশের হাতে দিতে হবে। যারা এত জড়াচ্ছেন, তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনছি।
এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব অনুযায়ী, বিগত ১২ বছরে দেশে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান ৯৫৪ জন। আসকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে গণপিটুনির ঘটনায় ১২৮ জন এবং ২০২৩ সালে গণপিটুনিতে ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১৯ জন নিহত হন। এছাড়া গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৯২ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর ভাষায় সতর্ক করে জানিয়েছে, কেউ যেন কোন পরিস্থিতিতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। অপরদিকে নাম ভাঙিয়ে তল্লাশি-অর্থ দাবির বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দুদকের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা অর্থ দাবি করার অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কারো সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা বা দুদকের নাম ভাঙিয়ে তল্লাশি-অর্থ দাবির ঘটনা ঘটলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন ১০৬ নম্বরে অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
এব্যাপারে দেশে স্বাধীন ভাবে সাংবাদিকতা করার নিমিত্তে কিংবা পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, তথ্য উপদেষ্টা, পুলিশ প্রধান (আইজিপি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব),ডিএমপি কমিশনারসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উত্তরায় বসবাসরত সাংবাদিকরা।