
দীর্ঘ নয় বছর ১১ দিন পর অবশেষে গুম হওয়া বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বেনাপোল শাখার তৎকালীন সেক্রেটারি মো. রেজওয়ান হোসেনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রেজওয়ান হোসেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বারোপোতা গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ও মোছা. সেলিনা খাতুনের পুত্র। ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল ভূমি অফিস সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে তৎকালীন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসানের নেতৃত্বে এসআই নূরে আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রেজওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও গত নয় বছরে তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তদন্ত দলটি বারোপোতা গ্রাম ও বেনাপোল এলাকায় বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে।
ঘটনাস্থলে নারী-পুরুষসহ প্রায় ৩৫ জন প্রত্যক্ষদর্শী নির্ভয়ে সাক্ষ্য দেন। তদন্তকালে স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রেজওয়ানের ভাই রিপন হোসেন জানান, “আমরা ঘটনার পরপরই তৎকালীন ওসি অপূর্ব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থানার বাইরে বের করে দেন। তারপর থেকে আমরা কোনোভাবেই রেজওয়ানের খোঁজ পাইনি।”
স্বজনেরা রেজওয়ানের গুমের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।