• ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাস্তায় জলাবদ্ধতা নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

-ডিএসসিসি’র ৫২ নং ওয়ার্ড (বাউনিয়া)

মনির হোসেন জীবন
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১৪:৩৯ অপরাহ্ণ
রাস্তায় জলাবদ্ধতা নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী
সংবাদটি শেয়ার করুন....
  • ড্রেনেজ ব্যবস্থা অসচল
  • নেই পানি নিষ্কাশনেরও কোন ব্যবস্থা
  • চরম দুর্ভোগের শিকার বাউনিয়া এলাকাবাসি
  • নোংরা পানিতে বসবাস করছে প্রায় অর্ধশত পরিবার
  • রাস্তায় ফেলা হচ্ছে পলিথিন ও ময়লা আবর্জনার স্তুুপ
  • দেখা দিচ্ছে চর্মরোগ : দেখার যেন কেউ নেই
  • রাস্তায় জমে থাকে ড্রেনের নোংরা পানি
  • পরিবেশ নষ্ট ও চরম ভোগান্তিতে মানুষ
  • ডিএনসিসিতে আবেদন করেও কোন প্রতিকার মিলছে না
  • প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা ও এলজিইডির দৃষ্টি আকর্ষণ

দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে রাজধানী তুরাগের বাউনিয়া মাদবরবাড়ি (সরকার বাড়ি) এলাকায় বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারও স্থানীয় এলাকাবাসি ভাঙ্গাচূড়া রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতা, ময়লা আবর্জনা ও নোংরা- দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নানাবিধ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, বাসাবাড়ির গোসলের পানি, টয়লেটের ময়লা – নোংরা পানি, ড্রেনের নোংরা পানি রাস্তার ওপরে উঠে দীর্ঘদিন যাবত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানের লাখো মানুষ মূলত রাজধানীর বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করেন। উপচে উঠা ড্রেনের নোংরা পানিতে কেউ খালি পায়ে, কেউ জুতা পরে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘরে ফিরছে। কেউবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ ধীরে ধীরে চলতে হচ্ছে আঁকাবাকা ভাঙ্গা চূড়া সড়ক। সুস্থ, অসুস্থ সবাই এই সড়ক দিয়ে চলতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানি ও বাসা বাড়ির নোংরা পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এলাকায় বসবারত মানুষের নিত্যদিনের সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছেন ।

এ এলাকায় বসবাসরত প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী এলাকার সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ড্রেনেজ–ব্যবস্থা সচল না থাকায় পানি নিষ্কাশনও বাধা পাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সামান্য বৃষ্টিতেই বাউনিয়া মাদবর বাড়ি এলাকার (সরকারবাড়ি) রোডে চরম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অপর্যাপ্ত ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশিত না হয়ে রাস্তায় জমে থাকে।

এর সাথে ড্রেনের অপরিষ্কার ও দূষিত পানিও রাস্তায় উপচে পড়ে, ফলে রাস্তার অবস্থা হয়ে পড়ে নোংরা, দুর্গন্ধময় এবং চলাচলের অযোগ্য। পথচারী, স্কুল-কলেজগামী, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ নাগরিক ও জন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পানি জমে থাকার ফলে স্থানীয় জনগণকে বালুভর্তি বস্তা রাস্তার ওপর ফেলে পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হতে হয়। এতে বিশেষ করে শিশুরা, বৃদ্ধরা এবং নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

গত ২১ অক্টোবর, ২০২৫ বিকেলে সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাউনিয়া মাদবরবাড়ি (সরকারবাড়ি) এলাকায় এই নোংরা পানির উপর দিয়ে পথ চলতে গেলে নোংরা পানি ছিটকে পড়ে মানুষের গায়ে। সড়কের দক্ষিণ পাশে বসতবাড়ির বাউন্ডারি ঘেঁষে সারিসারি বালুর বস্তা রাস্তায় ফেলা আছে। বস্তার ওপর পা রেখে মানুষ অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে হাঁটা চলা করছে। এই সড়কে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীর গায়ে নোংরা পানি ছিটে পড়ে। এই নোংরা পানিতে হেঁটে চলতে হচ্ছে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজনকে।

এই সমস্যা শিগগিরই নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর । তথ্য অনুসন্ধানে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাউনিয়া সরকার বাড়ি এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে মো: তাজুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মে: সামাদ, মহিউদ্দিন মুহু, আবু মুসা, জাহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সিরাজুল ইসলাম, মো: মাসুদ, ইউসুফ আলী ও মোছা: মুনিয়ার মাসহ অন্যান্য পরিবারের বসবাস। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীরা এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের এ রোডটি এলজিইডির উদ্যোগে তৈরি করা। সড়কটি ১৪ ফুট প্রশস্ত আর লম্বা হবে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গজ। তুরাগের বাউনিয়া মাদবর বাড়ি এলাকার (সরকার বাড়ি) বাইতুল মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন পূর্ব পাশে রোডে আমরা ৪০ থেকে ৫০টি পরিবারের ২/৩শ লোক বসবাস করছি। এখানে আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। সড়কে ড্রেনের নোংরা ও বাথরুমের ময়লা পানি রাস্তায় গিয়ে পড়ে। ড্রেন গুলো ময়লা আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নামতে পারে না। রাস্তার স্যুয়ারেজ লাইন বন্ধ হয়ে গেছে।

টয়লেট আর গোসলের পানি এসে পড়ছে রাস্তায়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত হলে ময়লার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। তখন মানুষের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের তখন চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।  অনেক সময় রাস্তার সাইডে চলাচলের জন্য বালুর বস্তুা ফেলে কোন রকম বাসায় ফিরতে হয়। ভাঙ্গা চূড়া রাস্তা দিয়ে রিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকারসহ কোন ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় কিছু ব্যক্তি এবং বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, সায়েদ আহমেদ ও সিরাজুল গংদের ৩/৪ তলা বিশিষ্ট বসতবাড়ির গোসল, টয়লেট ও ময়লার নোংরা পানি গুলো এসে রাস্তায় পড়ে। অনেক সময় রাস্তা পানিতে সয়লাব হয়ে কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। তখন জনগণের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে – ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তি কয়েকটি বসতবাড়ির মালিকের নিকট থেকে ময়লা- নোংরা পানির লাইন করার অজুহাত দেখিয়ে একটি চক্র কৌশলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ।

ডিএনসিসি’র ৫২ নং ওয়ার্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এসব এলাকায় দীর্ঘ প্রায় এ বছর ধরে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। মহাসড়কে জল জমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে জলমগ্ন পথে হাঁটাচলা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমন যানবাহন গর্তে আটকে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ রোডে স্থানীয় আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) মহিলা মাদ্রাসা, পাশে আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পাশে মসজিদের মুসল্লীরাসহ এলাকাবাসীরা প্রতিনিয়তই কষ্টে করে এ পথ দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ভাঙ্গা রাস্তা ও ড্রেনের উপচে উঠা নোংরা পানি ছিটকে পড়ে আমাদের শরীরে। বাসা বাড়ির ভাড়াটিয়া ও সাধারণ মানুষের মালামাল পড়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যর সমাধান জরুরি প্রয়োজন। এদিকে স্থানীয় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের মুসল্লি ও পথচারীরা অভিযোগ কর বলেন, এই নোংরা পানি পায়ে লাগলে চুলকায়। আশপাশের দোকানদার ও ভাড়াটিয়ারা পলিথিন ব্যাগ করে ময়লা আবর্জনা গুলো ঢিল মেরে রাস্তায় ফেলে।

তাদের একদিকে নোংরা পানি, অপরদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত। এই গর্তে গাড়ির চাকা পড়লে পানি ছিটকে গায়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে খুবই কষ্টকর অবস্থায় আছি। স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ পায়ে হেঁটে স্কুলে যাই। এই নোংরা পানি দিয়ে হেঁটে যেতে হয় প্রতিদিন। পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। এখন চিকিৎসার টাকা পাবো কোথায়? ভাঙা সড়ক থাকায় পানি ছিটে বেশি।

ড্রেন এবং সড়কটি সংস্কার জরুরি। এখনও কোনো কাজ হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী বাসিন্দা জানান, এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি ড্রেনেজ–ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। দেশের খ্যাতিনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছে, নোংরা ও ময়লা পানিতে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ হতে পারে, যেমন- চর্মরোগ, কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয়, হেপাটাইটিস এ, এবং বিভিন্ন ধরনের কৃমি সংক্রমণ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের জীবানু ও রোগ হওয়ার শঙ্কা থাকে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, পলিথিন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি বস্তু। কারণ এটি অপচনশীল হওয়ায় মাটি ও পানি দূষিত করে, ড্রেন ও নদী-নালা বন্ধ করে দেয় এবং পশুর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। এছাড়া, পলিথিন পোড়ালে ডাইঅক্সিন ও ফিউরানের মতো বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় যা শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারসহ নানা রোগের কারণ হয়। খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে থাকা ক্যাডমিয়াম ও সীসার মতো ভারী ধাতু শরীরে প্রবেশ করে, যা বমি, হৃদপিণ্ডের সমস্যা এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।প্রথমত পরিবেশগত ক্ষতি-মাটি দূষণ: পলিথিন পচে না, ফলে মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে দেয়। জল দূষণ: ড্রেন, নালা, নদী ও সাগরে পলিথিন জমা হয়ে পানিকে দূষিত করে এবং জলজ প্রাণীর ক্ষতি করে।

বায়ু দূষণ: পলিথিন পোড়ালে ডাইঅক্সিন ও ফিউরানের মতো বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ুদূষণ ঘটায়। বন্যপ্রাণীর ক্ষতি: পলিথিন খেয়ে অনেক পশু মারা যায়, এবং এটি মশা ও পোকামাকড়ের প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করে। স্বাস্থ্যগত ক্ষতি- শ্বাসযন্ত্রের রোগ: পলিথিন পোড়ানোর ফলে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুসের রোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। খাদ্য দূষণ: ক্যাডমিয়াম ও সীসার মতো বিষাক্ত ধাতুযুক্ত পলিথিনে মোড়ানো খাবার খেলে তা দূষিত হয়। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি: প্লাস্টিকের কিছু উপাদান, যেমন বিপিএ, শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

দেশের পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছে, পলিথিন পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পলিথিনের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় ইথিন থেকে প্রাপ্ত পলিমারকে পলিথিন বলে। পরিবেশদূষণ, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য পলিথিন মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। পলিথিন মানুষের শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। শহর এলাকায় পলিব্যাগগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী, পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকর। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি নাগরিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে। পলিথিনে রোগ-ব্যাধি, অকালমৃত্যু বাড়ছে। পলিথিন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনিবার্য অংশ হয়ে উঠেছে।

আর তার পরিণতি ভোগ করছি আমরাই। ক্যানসারসহ নানা রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধছে শরীরে। প্লাস্টিক পলিথিন মানব দেহের ক্ষতি, পরিবেশের ক্ষতি’। প্লাস্টিকের বস্তুটি মাটি ও পানিকে দূষিত করার ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর। পলিথিন সহজে মাটিতে মিশে না। তথ্য অনুসন্ধান ও বাউনিয়া এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, নগর ভবন, গুলশান-২, ঢাকা। প্রধান কার্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে রাস্তায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ডিএনসিসি’র ৫২ নং ওয়ার্ড বাউনিয়া এলাকাবাসি ও স্থানীয় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে উল্লেখ থাকে যে, স্থানীয় রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি বা বন্যার পানি জমে থাকলে এক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এমন অবস্থায় ছোট ছোট ফুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা ময়লা পানিতে হেঁটে স্কুল যায়। এলাকাবাসি ও মুসল্লিরা নামায পড়তে যাওয়ার সময় ওজু নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচতে ওই এলাকায় একটি ড্রেন সংযুক্ত করা প্রয়োজন রয়েছে। পরবর্তীতে সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)’র গুলশান-২, ঢাকা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন), অঞ্চল-০৬, বাসা-৫০, রোড- ৬/ সি, সেক্টর-১২, উত্তরা, ঢাকা ও ৫২ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় পাকুড়িয়া, উত্তরা, ঢাকা অফিসে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে পরবর্তীকালে ডিএনসিসি অঞ্চল-০৬, উত্তরা অফিসের জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার (ডিএম)
ইঞ্জিনিয়ার মো: জালাল উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি ভুক্তভোগীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপাতত রাস্তার কোন বাজেট নেই।

আগামীতে বাজেট আসলে এ রাস্তার কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর, ২০২৫) দুপুর ১২টা পর মো: জালাল উদ্দীনের উত্তরা অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। কোথায় গেছেন- জানতে চাইলে অফিস স্টাফরা সাংবাদিকদের জানান, স্যার, জরুরি কাজে অফিসের বাহিরে আছেন। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। সে কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবার গুলো বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)’র সচিব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, অঞ্চল -৬, উত্তরা, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৫২ নং ওয়ার্ড বাউনিয়া এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।